সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুচ্ছ জিনিসের চাপে ভেঙ্গে পড়বেন না

তুচ্ছ জিনিসের চাপে ভেঙ্গে পড়বেন না অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের চাপে নয় বরং অতি তুচ্ছ ব্যাপারে অল্পতেই ভেঙ্গে পড়েন। মুনাফিকদের বিষয়টা একটু ভেবে দেখুন- তারা তাদের সংকল্পে কতই না দুর্বল! আল কুরআন তাদের কিছু কথা আমাদের নিকট বর্ণনা করছে: “যারা (তাবুকের যুদ্ধ থেকে) পিছনে থেকে গেল তারা আল্লাহর রাসূলের (বিরুদ্ধাচরণ করে) পিছনে বসে থাকাতেই আনন্দবোধ করল এবং তারা তাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করা অপছন্দ করল এবং তারা বলল: গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না।” (৯-সূরা তাওবা: আয়াত-৮১) “আমাকে (যুদ্ধ হতে) অব্যাহতি দিন এবং আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না।” (৯-সূরা তাওবা: আয়াত-৪৯) “আর তাদের একদল নবীর নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে বলছিল, আমাদের ঘর-বাড়িগুলো সত্যিই অরক্ষিত’। আসলে সেগুলো অরক্ষিত ছিল না। আসলে তারা পালাতেই চেয়েছিল।” (৩৩-সূরা আল আহযাব: আয়াত-১৩) نَخْشَىٰ أَنْ تُصِيبَنَا دَائِرَةٌ “আমাদের আশঙ্কা হয় যে, আমাদের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটবে।” (৫-সূরা মায়িদা: আয়াত-৫২) “আর (তখনকার কথা স্মরণ করুন, যখন) মুনাফিকরা ও যাদের অন্তরে ব্যাধি তারা বলছিল; ‘আল্লাহ ও তার রাসূল আমাদেরকে যে প্র...

বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা ও পরিণাম

বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা ও পরিণাম ভূমিকা : আল্লাহ মানব জাতিকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তিনি বলেন, وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ ‘আমি মানুষ ও জিনকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য’ (যারিয়াত ৫১/৫৬)। তিনি মানুষকে দিয়েছেন স্বাধীন ইচ্ছা ও কর্মশক্তি। মানুষ ইচ্ছা করলে আল্লাহর বিধান মানতে পারে, আবার নাফরমানিও করতে পারে। শয়তানের প্ররোচনায় সে সৎপথ থেকে বিচ্যুত হ’তে পারে। তাই মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে এ ধরণীতে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِيْ كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُوْلاً أَنِ اعْبُدُوْا اللهَ وَاجْتَنِبُوْا الطَّاغُوْتَ ‘আমরা প্রত্যেক কওমের মধ্যে রাসূল প্রেরণ করেছি এজন্য যে, তারা যেন বলে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগূতকে বর্জন কর’ (নাহল ১৬/৩৬)। কিন্তু মানুষ যখন নবী-রাসূলগণের দেখানো পথ বাদ দিয়ে নিজেদের মত অনুসারে চলতে চায়, তখনই তারা অধঃপতনের অতল তলে নিমজ্জিত হয়। উম্মতে মুহাম্মাদীও তদ্রূপ রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ থেকে দূরে সরে গেছে। ফলে তারা আজ সর্বত্র নির্যাতিত, নিপীড়িত ...

ইদ স্বলাতের তাকবির সমহ

ইদ স্বলাতের তাকবির সমহ 1) আমর ইবনু শু'আইব তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা, আবদুল্লাহ ইবনু আমর হতে, বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার সালাতে 12 তাকবীর দিতেন, তাকবীরে তাহরীমী ছাড়াই তিনি প্রথম রাকা'আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাকা'আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন, অন্য বর্ণনা এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস ( রাঃ ) বলেনঃ নবী কারীম ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেছেনঃ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার প্রথম রাকা'আতে সাত তাকবীর দিতে হবে এবং দ্বিতীয় রাকা'আতে পাঁচ তাকবীর দিতে হবে। আর উভয় রাকা'আতে ক্বিরাআত পড়তে হবে তাকবীরের পর। দারাকুতনী, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ 36, হাদীস নং, 1,712, 1713,1713, বায়হাকী, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ 403, হাদীস নং, 6171, 6162, আবু দাউদ, পৃঃ 163, হাদীস নং, 1151, 1152, ইবনে মাজাহ্, পৃঃ 91, হাদীস নং, 1263, মুসনাদে আহমেদ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ 180, হাদীস নং, 6688, 2) আয়েশা ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার সালাতে প্রথমে সাত আর পরে পাঁচ তাকবীর দিতেন, আব...

কুরবানীর উদ্দেশ্য!

কুরবানীর উদ্দেশ্য কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তার ইবাদত করার জন্য। তাই আল্লাহ তা‘আলার বিধান তাঁর নির্দেশিত পথে পালন করতে হবে। তিনি বলেন : ﴿ وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦ ﴾ [الذاريات: ٥٦] ‘আমি জিন ও মানুষকে এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা শুধু আমার ইবাদত করবে।’ [সূরা আয্যারিয়াত-৫৬] আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে কুরবানীর বিধান আমাদের উপর আসার বেশ কিছূ উদ্দেশ্যও রয়েছে: ১. শর্তহীন আনুগত্য আল্লাহ তা‘আলা তার বান্দাহকে যে কোনো আদেশ দেয়ার ইখতিয়ার রাখেন এবং বান্দাহ তা পালন করতে বাধ্য। তাই তার আনুগত্য হবে শর্তহীন। আল্লাহর আদেশ সহজ হোক আর কঠিন হোক তা পালন করার বিষয়ে একই মন-মানসিকতা থাকতে হবে এবং আল্লাহর হুকুম মানার বিষয়ে মায়া-মমতা প্রতিবন্ধক হতে পারে না। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর আনুগত্য ছিল শর্তহীন। এ জন্য মহান আল্লাহ যেভাবে বিশ্ব মানবমন্ডলীকে বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত করেছেন ঠিক সেভাবে সর্বশেষ জাতি হিসেবে মুসলিম জাতির পিতাও মনোনয়ন দিয়েছেন । কুরআনে এসেছে : ﴿مِّلَّةَ أَبِيكُمۡ إِبۡرَٰه...

ধূমপান একটি অপরাধ : কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে

ধূমপান একটি অপরাধ : কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আমরা সকলে জানি ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। কথাটা অনেকে সেচ্ছায় বলেন অনেকে বলেন বাধ্য হয়ে। যাই হোক ধুমপানের ক্ষতির তুলনায় শ্লোগানটা খুবই হাল্কা। কারণ ধূমপান শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর, আত্নার জন্য ক্ষতিকর, স্বভাব-চরিত্রের জন্য ক্ষতিকর, পরিবার-পরিজন প্রতিবেশী সমাজ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমার কাছে এর চেয়ে বড় ক্ষতির দিক হলো ধুমপানের মাধ্যমে ইসলামের নীতি আদর্শ লংঘন। আমি অনেক ধর্মপ্রান লোকজনকে দেখেছি তারা ধূমপান করেন। এমনকি বাংলাদেশের এক শহরের এক মসজিদে দেখেছি ইমাম সাহেব নামাজের ইমামতি শেষে মসজিদে বসেই সিগারেট ধরিয়ে পান করলেন। ঐ অঞ্চলের এক ইমাম সাহেবকে দেখেছি জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে বসে বক্তৃতা দিচ্ছেন আর সিগারেট টানছেন। এ সকল ধর্মপ্রান মানুষ ও ধর্মীয় নেতাদের যখন আপনি বলবেন ধূমপান জায়েজ নয় তখন তারা তা মানতে চান না। অনেক যুক্তির সাথে তারা এ টাও বলেন মক্কা শরীফের মত পবিত্র স্থানেও ধূমপান করতে দেখেছি, যদি জায়েযই না হতো তা হলে কি ..। মুলত এদের উদ্দেশ্যেই আমার এ লেখা। তারা বলেন : আল-কুরআনে তো বলা হয়নি 'তোমর...

মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা

মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা: mdmokles2@gmail.com এই প্রসঙ্গটির কয়েকটি দিক রয়েছেঃ ক- কোনো মৃতের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্ররূপে একটি আলাদাই কুরবানী দেওয়া। যেমন, একটি ছাগল বা গরু বা গরু কিংবা উটের কোনো বিশেষ এক-দুই ভাগ মৃতের জন্য দেয়া। মৃতের জন্য এমন স্বতন্ত্র কুরবানী বৈধ নয়। সত্যিকারে কুরবানীর সুন্নতটি জীবিতদের জন্য এটা মৃতদের জন্য নয়। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মৃত প্রিয়া স্ত্রী খাদীজা (রাযিঃ), তাঁর মৃত প্রিয় চাচা হামযা (রাযিঃ) এবং মৃত প্রিয় সন্তানাদির কারোর পক্ষ থেকে কুরবানী দেন নি। বরং তিনি নিজের ও নিজ পরিবারে পক্ষ থেকে কুরবানী দিতেন। খ- এমন ব্যক্তি যে কাউকে মৃত্যুর পূর্বে অসীয়ত করে যায় যে, সে মারা গেলে তার পক্ষ থেকে যেন সে কুরবানী দেয়, তাহলে সেই মৃত ব্যক্তির অসীয়ত অনুযায়ী এবং তার অসীয়ত বাস্তবায়নে কুরবানী করা বৈধ। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “অতঃপর যে ব্যক্তি তা শুনার পর অসীয়তে পরিবর্তন ঘটাবে, তবে তার গুনাহ তাদেরই উপর বর্তাবে, যারা তার পরিবর্তন ঘটাবে।” [সূরা বাক্বারা/১৮১] আলী (রাযীঃ) হতে প্রমাণিত রয়েছে যে, তিনি দুটি ভেড়া...

দাম্পত্য জিবনে স্ত্রির করনিয়

<-------"দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর করণীয়"-------> ১/ স্বামীকে প্রাণ খুলে ভালবাসা। ২/ স্বামীর প্রতি যথাযথ ভক্তি-শ্রদ্ধা রাখা। ৩/স্বামীর আদেশ-নিষেধের প্রতি যত্নবান হওয়া। ৪/স্বামীর সাথে সুমিষ্ট ভাষায় কথা বলা। ৫/ স্বামীকে নিজের মনের কথা খুলে বলা। ৬/ স্বামীর সব ধরনের আমানত রক্ষা করা। ৭/ স্বামীর সুখে সুখী আর স্বামীর দুঃখে দুঃখী হওয়া। ৮/ নিজ সাজগোজ ও পরিচ্ছন্নতার দ্বারা স্বামীর মন জয় করা। ৯/ স্বামীকে সান্তনা দেওয়া। ১০/ সংসার চালানোর ক্ষেত্রে স্বামীকে সহযোগিতা করা। ১১/ স্বামীকে সুপরামর্শ দেওয়া। ১২/ স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া। ১৩/ স্বামীর সম্পদের হেফাজত করা। ১৪/ স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোন কাজ না করা। ১৫/ স্বামীর কল্যাণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা। ১৬/ স্বামীর কোন বদ অভ্যাস থাকলে হেকমতের সাথে তা দূর করা। ১৭/ স্বামীর কাছে কোন কিছু লুকিয়ে না রাখা। ১৮/ স্বামীকে নিজ অভিভাবক মনে করা। ১৯/ স্বামীর গুণাবলীর প্রশংসা করা। ২০/ স্বামী কোন কাজে বের হলে হাসিমুখে বিদায় দেওয়া। ২১/ স্বামী বাহির থেকে ঘরে আসলে হাসিমুখে বরণ করা। ২২/ স্বামীর জন্য সময়মত খানাপিনা ও বিশ্রামের ব...

অবিবাহিত ভাই ও বোনদের জন্য উপদেশ

*_وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته..!_* জী সম্মানিত ভাই! অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রসঙ্গ উত্থাপনের জন্য আপনাকে حزاك الله خيرا..!         আসলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এরকম সমস্যায় কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসা হয় পরিণতি পাবার পর। ততদিনে ভুক্তভোগী সর্বস্ব খুইয়ে পড়েন। এখানে আমরা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধকেই প্রাধান্য দেব *إن شاء الله..*          বিষয়টি নিয়ে খারাপ ধারণা না করার জন্য সকলের প্রতি আবেদন রাখছি। এটি বিশেষ করে সদ্য যৌবন প্রাপ্ত ভাই-বোনেদের মানসিক ও শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকতে জানার প্রয়োজন। অনেকেই আছেন যারা এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে হস্তমৈথুন করেন; যার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ থেকে মুক্তি পেতে লজ্জা না করে প্রয়োজন আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। হস্তমৈথুন এমন একটি বদ অভ্যাস যা একবার কাউকে পেয়ে বসলে ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। শুধু তাই না, এক সময় এই কু-অভ্যাসটিই অনেকের যৌনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। হস্তমৈথুনের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি *মানসিক ও শারীরিক* দুই ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। – পুরুষ...