সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইদ স্বলাতের তাকবির সমহ

ইদ স্বলাতের তাকবির সমহ

1) আমর ইবনু শু'আইব তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা, আবদুল্লাহ ইবনু আমর হতে, বর্ণনা করেন যে,
রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার সালাতে 12 তাকবীর দিতেন, তাকবীরে তাহরীমী ছাড়াই তিনি প্রথম
রাকা'আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাকা'আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন,
অন্য বর্ণনা এসেছে,
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস ( রাঃ ) বলেনঃ
নবী কারীম ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেছেনঃ
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার প্রথম রাকা'আতে সাত তাকবীর দিতে হবে এবং দ্বিতীয় রাকা'আতে পাঁচ তাকবীর
দিতে হবে। আর উভয় রাকা'আতে ক্বিরাআত পড়তে হবে তাকবীরের পর।
দারাকুতনী, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ 36, হাদীস নং, 1,712, 1713,1713,
বায়হাকী, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ 403, হাদীস নং, 6171, 6162,
আবু দাউদ, পৃঃ 163, হাদীস নং, 1151, 1152,
ইবনে মাজাহ্, পৃঃ 91, হাদীস নং, 1263,
মুসনাদে আহমেদ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ 180, হাদীস নং, 6688,
2) আয়েশা ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার সালাতে প্রথমে সাত আর পরে পাঁচ
তাকবীর দিতেন,
আবু দাউদ, প্রথম খণ্ড, পৃঃ163, হাদীস নং, 1150,
ইবনে মাজাহ্, পৃঃ 91, হাদীস নং, 1065,
দারাকুতনী, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ 36, হাদীস নং, 1710,
বায়হাকী, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ 404, হাদীস নং, 6175,
3) কাছীর ইবনু আবদুল্লাহ স্বীয় পিতা হতে তিনি তার দাদা, আবদুল্লাহ ইবনু আওফ আল-মুযানী বাদরী,
হতে বর্ণনা করেন যে,
রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
দুই ঈদের সালাতে প্রথম রাকা'আতে ক্বিরাআত পূর্বে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকা'আতে ক্বিরাআত
পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন,
তিরমিযী, হাদীস নং, 582,
ইবনে মাজাহ্, হাদীস নং, 1279,
সহীহ্ ইবনে খোযায়ামাহ্, হাদীস নং, 1438, 1439,
দারাকুতনী,হাদীস নং, 1715,
বায়হাকী, হাদীস নং, 6173,
4) ইবনে ওমর ( রাঃ ) বলেনঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)বলেছেনঃ
দুই ঈদের তাকবীর হবে, প্রথম রাকা'আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাকা'আতে পাঁচ,
তাখরীজে ইবনে আসাকির, হাদীস নং, 11535, 11536,
তাখরীজে বাগদাদ, হাদীস নং, 2/413,
5) আবদুর রহমান ইবনু সা'দ বলেনঃ আমার পিতা তার দাদা,
রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর মুআযযিন আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছে যে, রাসূলুল্লাহ
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
দুই ঈদে তাকবীর দিতেন, প্রথম রাকা'আতে ক্বিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয়
রাকা'আতে ক্বিরাআত পূর্বে পাঁচ তাকবীর,
ইবনে মাজাহ্, হাদীস নং, 1277,
হাকীম, হাদীস নং, 6554,
বায়হাকী, হাদীস নং, 6178,
দারেমী, হাদীস নং, 1567,
6 ) আবী ওয়াক্বেদ আল-লায়সী ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
লোকদেরকে নিয়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার সালাত আদায় করতেন, তিনি প্রথম রাকা'আতে সাত তাকবীর
বলতেন এবং সূরা ক্বাফ পড়তেন। আর দ্বিতীয় রাকা'আতে পাঁচ তাকবীর বলতেন এবং সূরা ক্বামার পড়তেন।
তারাবানী, হাদীস নং, 3298,
মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং, 3246,
7 ) ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
দুই ঈদের সালাতে 12 তাকবীর দিতেন, প্রথম রাকা'আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাকা'আতে পাঁচ, তিনি এক
রাস্তা দিয়ে যেতেন অন্য রাস্তা দিয়ে আসতেন।
তারাবানী, হাদীস নং, 10708,
মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং, 3245,
বায়হাকী, হাদীস নং, 6180,
8 ) আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ ) এর গোলাম নাফে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার
এর সালাতে আবু হুরায়ারা ( রাঃ ) এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথম রাকা'আতে ক্বিরাআত পূর্বে সাত তাকবীর
এবং দ্বিতীয় রাকা'আতে ক্বিরাআত পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিলেন,
মুত্তায়ে মালেক, বায়হাকী, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্, মুসনাদে শাফে'য়ী, ত্বাহাবী,
9) নাফে ' ইবনু আবী নু'আইম বলেন, আমি নাফে ( রাঃ ) কে বলতে শুনেছিঃ যে
আবদুল্লাহ ইবনু ওমর ( রাঃ ) বলেছেনঃ দুই ঈদের তাকবীর হবে, প্রথম রাকা'আতে সাত এবং দ্বিতীয়
রাকা'আতে পাঁচ।
মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্,
ত্বাহাবী,
আলবানী, ইরওয়াউল গালীল,

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

তিন শ্রেণীর লোক দ্বারা সর্বপ্রথম জাহান্নাম উদ্বোধন

♪♪তিন শ্রেণীর লোক দ্বারা সর্বপ্রথম জাহান্নাম উদ্বোধন করা হবে। যথাঃ (ক) শহীদ। (খ) আলেম এবং (গ) দানবীর। ★হাদিস: তিন শ্রেণীর লোক সর্বপ্রথম জাহান্নামে যাবেঃ প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইরশাদ করতে শুনেছি, নবীজী বলেন:কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যাদের বিচার করা হবে, শাহাদত বরণকারী একজন লোক, তাকে উপস্থিত করা হবে এবং আল্লাহ প্রদত্ত্ব যাবতীয় নেয়ামত সম্পর্কে জ্ঞাত করা হবে সে সব নেয়ামতকে চিনে বা মেনে নেবে। তখন তাকে বলা হবে: এসব নেয়ামতের পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কি কি আমল করেছ? বলবে: আপনার তরে লড়াই-জিহাদ করেছি এবং শহীদ হয়ে গিয়েছি। বলা হবে: তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি লড়াই করেছ এজন্য যে, লোকেরা তোমাকে বীর-বাহাদুর বলবে। তাতো বলা হয়েছে। অত:পর তার ব্যাপারে রায় ঘোষণা করা হবে এবং তাকে চেহারার উপর ভর দিয়ে টেনে নিয়ে (যাওয়া হবে এবং) জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। →দ্বিতীয় পর্যায়ে, আলেম ব্যক্তি যে নিজে দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করেছে, অপরকে শিক্ষা দিয়েছে এবং কোরআন পড়েছে। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং প্রদত্ত নেয়ামত সম্পর্কে জ্ঞাত করা হবে। সে সব নেয়ামত...

ভ্রান্ত আলেম

ভ্রান্ত আলেম ভ্রান্ত আলেমঃ- নবি(স) বলেন,আমি আমার উম্মতের একটি বিষয়কে দজ্জালে চেয়ে ও বেশী ভয় করি। আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসুল সেটা কি? তিনি বল্লেন,বিপথগামী ও পথভ্রষ্ট আলেম(সহি মুসলিম:৬,৭ মুসনাদে আহমদ:২১৬২১,২১৬২২ তাবরানী:৭৬৫৩)। আলেমগন(ভাল) ইসলামের পাহরাদার বল্লেও, দুর্ভাগ্য যে বর্তমানে কিছু লোক (পীর নিয়ন্ত্রিত) মাদ্রাসায় সাজেশান পড়ে আলেম সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে, কিন্তু তারা কুরআন সম্পূর্ণ পড়ে না,বিধায় আমাদের সমাজে পথভ্রষ্ট ও ভ্রান্ত আলেম বেড়ে গেছে। তাদের অজ্ঞতায় সৃজিত জাল-যঈফ হাদিসের জন্য সাধারণ মুসলিম শির্ক ও বিদাআত চিনতে পারছেন না। এরাই বর্তমানে বলে বেড়ায় "ধর্ম বুঝা কঠিন, মাদ্রাসা না পড়লে কোন ভাবেই ধর্ম জানা যায় না তারচে তারা যা বলে তা অন্ধ ভাবে অনুসরণ করতে"। প্রকৃত পক্ষে- এটি সহজ ও দলিল ভিত্তিক ধর্ম।এটা মানতে কুরআন ও সুন্নাহ(in to to) অনুসরণ করতে হয়। কোন পীর,ঈমাম কিংবা আলেম এর স্বপ্ন,ইচ্ছা,গনতন্ত্র, ভাল লাগা, না লাগার উপর ইসলাম নির্ভর করে না। আল্লাহ্‌ বলেন, আলেমদের অন্ধ অনুসরণ করা হারাম(সুরা নাহল:১৬/৪৩,সুর আ"রাফ:৭/৩, সুরা আহযাব:৩৩/৬৭) [Mahbubul ...

হকপন্থী দল কারা ?”

হকপন্থী দল কারা ?” সওবান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হকপন্থী দল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, "চিরদিন আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল হকের উপরে বিজয়ী থাকবে। পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, এমতাবস্থায় ক্বিয়ামত এসে যাবে, অথচ তারা ঐভাবে থাকবে ।” (সহীহ মুসলিম ‘ইমারত’ অধ্যায়-৩৩, অনুচ্ছেদ-৫৩, হা/১৯২০; ফাৎহুল বারী হা/৭১ ‘ইল্ম’ অধ্যায় ও হা/৭৩১১-এর ভাষ্য ‘কিতাব ও সুন্নাহকে, ‘আঁকড়ে ধরা’ অধ্যায়; আলবানী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিঃ)-কে ‘ক্বিয়ামত পর্যন্ত হক-এর উপরে একটি দল টিকে থাকবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, -“তারা যদি ‘আহলে হাদীস’ না হয়। তাহ’লে আমি জানি না তারা কারা ?” (তিরমিযী হা/২১৯২; মিশকাত হা/৬২৮৩-এর ব্যাখ্যা; ফাৎহুল বারী ১৩/৩০৬ পৃঃ, হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০-এর ব্যাখ্যা; শারফু আসহাবিল হাদীস পৃঃ ১৫।) ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আল-হাকিম(মৃঃ ৪০৫ হিঃ) বলেন, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল এই মন্তব্য করে ভালোই করেছেন যে, কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকার সেই বিজয়ী দলটি হল ‘আসহাবুল হাদিস’। (ম...