সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জামাআতের ফযীলত ও মাহাত্ম

জামাআতের ফযীলত ও মাহাত্ম ওয়াজেব হওয়ার সাথে সাথে জামাআতের বিভিন্নমুখী কল্যাণ ও মাহাত্ম রয়েছে; যা জেনে জ্ঞানী নামাযীকে জামাআতে উপস্থিত হয়ে নামায আদায় করতে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হওয়া উচিৎ। জামাআতে হাজির হয়ে যারা আল্লাহর ঘর মসজিদ আবাদ রাখে, তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত; মহান আল্লাহ তাদের প্রশংসা করে বলেন, (إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللهَ، فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ) অর্থাৎ, আসলে তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করে, যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। আর আশা করা যায়, তারাই হল হেদায়াত-প্রাপ্ত। (কুরআন মাজীদ ৯/১৮) জামাআতে উপস্থিতি দোযখ ও মুনাফেকী থেকে মুক্তি দেয়; মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ৪০ দিন জামাআতে নামায আদায় করবে এবং তাতে তাহ্‌রীমার তকবীরও পাবে, (সেই ব্যক্তির জন্য দুটি মুক্তি লিখা হবে; দোযখ থেকে মুক্তি এবং মুনাফেকী থেকে মুক্তি।” (তিরমিযী, সুন...
অধিকাংশ লোক ইসলামের দলিল নয়: আপনি যখন সঠিক কথা ও ইসলামের চিরন্তন হক কথা ও সত্য কথা দলিলসহো বলতে যাবেন। তখন আপনাকে তারা বলব ""এই দেখো আহলে হাদীসরা তোমার ব্রেন ভালোভাবে ওয়াশ করে দিয়েছে"। তাই তোমার কোনো কথা মাথায় ঢুকবেনা,সঠিকটা তুমি দেখতে পাবে না। তুমি পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছো,বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা তারা আপনাকে বলবে। #চার ইমাম নিজেকে ""আহলে হাদিস"" বলে দাবী করেছে। তাহলে এই ৪ ইমামের ব্রেন কে ওয়াশ করলো ??? তাহলে তারা কি পথভ্রষ্ট??? (((নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক))) ♦♦♦ মানুষ যখন ইসলামের হক কথা দলিলসহো মানতে চাইবে না, তখন তারা বলবে আমরা আগে যা মেনে আসছি তাই সঠিক,তুমি আসছো নতুন ইসলাম নিয়ে। এই কথাতো আগে শুনি নাই। তখন তারা আপনাকে নিচের খোঁড়া যুক্তিগুলি আপনাকে বলবে। 🔴১. বাপ-দাদারা কি এতদিন ভুল করে আসছেন!❌ 🔴২. অধিকাংশ মানুষই কি ভুল করে আসছে!❌ 🔴৩. এত বড় বড় আলেম বা হুজুর তো এভাবেই আমল করে আসছেন! তারা কি ভুল করে গেছেন!❌ • মূলত উপরের এই তিনটি অজুহাতে মানুষ কুরআন ও সহীহ হাদিসের দাওয়াতকে পরিত্যাগ করে। ♦♦♦ আসুন এই ব্যপারে কোরআন কি বলছে??? দলিলসহো আমরা তা ...

নামাযের গুরুত্ত মান মর্যাদা

গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্‌শির অধ্যায়ঃ নামাযের শর্তাবলী ও আরকানসমূহ নামাযের শর্তাবলী ১। নামাযীকে প্রকৃত মুসলিম হতে হবে ২। জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। (পাগল বা জ্ঞানশূন্য হবে না) ৩। বিবেকসম্পন্ন হতে হবে। (সাত বছরের নিম্ন বয়সী শিশু হবে না) ৪। (ওযু-গোসল করে) পবিত্র হতে হবে ৫। নামাযের সঠিক সময় হতে হবে ৬। শরীরের লজ্জাস্থান আবৃত হতে হবে ৭। শরীর, পোশাক ও নামাযের স্থান থেকে নাপাকী দূর করতে হবে ৮। কিবলার দিকে মুখ করতে হবে ৯। মনে  মনে নিয়ত করতে হবে --- গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্‌শির অধ্যায়ঃ নামাযের শর্তাবলী ও আরকানসমূহ নামাযের আরকানসমূহ ১। (ফরয নামাযে) সামথ্য হলে কিয়াম (দাঁড়ানোর সময় দাঁড়িয়ে নামায পড়া) ২। তাকবীরে তাহ্‌রীমা ৩। (প্রত্যেক রাকআতে) সূরা ফাতিহা ৪। রুকু ৫। রুকু থেকে উঠে খাড়া হওয়া ৬। (সাষ্টাঙ্গে) সিজদাহ ৭। সিজদাহ থেকে উঠে বসা ৮। দুই সিজদার মাঝে বৈঠক ৯। শেষ তাশাহহুদ ১০। তাশাহহুদের শেষ বৈঠক ১১। উক্ত তাশাহ্‌হুদে নবী (সাঃ) এর উপর দরুদ পাঠ ১২। দুই সালাম ১৩। সমস্ত রুকনে ধীরতা ও স্থিরতা ১৪। আরকানের মাঝে তরতীব ও পর্যায়ক্রম। """"""" গ্...

জামাআতের মান ও গুরুত্ব

জামাআতের মান ও গুরুত্ব নামাজ জামাআত সহকারে আদায় করা ওয়াজেব। বিধায় বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করা কাবীরাহ্‌ গুনাহ। মহান আল্লাহ বলেন, (وَأَقِيْمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوْا مَعَ الرَّاكِعِيْنَ) অর্থাৎ, তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত আদায় কর এবং রুকূকারিগণের সাথে রুকূ কর। (কুরআন মাজীদ ২/৪৩) বরং জামাআতে নামায না পড়লে নামায কবুল নাও হতে পারে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আযান শোনে অথচ (মসজিদে জামাআতে) উপস্থিত হয় না, সে ব্যক্তির কোন ওজর ছাড়া (ঘরে নামায পড়লেও তার) নামাযই হয় না।” (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/২৪৫, সহিহ তারগিব ৪২২নং) “যে ব্যক্তি মুআযযিনের (আযান) শোনে এবং কোন ওজর (ভয় অথবা অসুখ) তাকে জামাআতে উপস্থিত হতে বাধা না দেয়, তাহলে যে নামায সে পড়ে সে নামায কবুল হয় না।” (আবূদাঊদ, সুনান ৫৫১নং) “যে কোন গ্রাম বা মরু-অঞ্চলে তিনজন লোক বাস করলে এবং সেখানে (জামাআতে) নামায কায়েম না করা হলে শয়তান তাদের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করে ফেলে। সুতরাং তোমরা জামাআতবদ্ধ হও। অন্যথা ছাগ পালের মধ্য হতে নেকড়ে সেই ছাগলটিকে ধরে খায়, যে (পাল থেকে) দূরে দূরে থাক...

ঈদ এ মিলাদুন্নবী একটি জঘন্য বিদ’আতঃ

ঈদ এ মিলাদুন্নবী একটি জঘন্য বিদ’আতঃ ============================= জন্মের সময়কাল কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর ﷺ এর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নাবী সালামু আলাইকা’ বলা ও সবশেষে জিলাপী (তবরক) বিতরণ -এই সব মিলিয়ে ‘মীলাদ মাহফিল’ ইসলাম প্রবর্তিত ‘ঈদুল ফিতর’ ও ‘ঈদুল আযহা’ নামক দু’টি বার্ষিক ঈদ উৎসবের বাইরে ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ নামে তৃতীয় আরেকটি ধর্মীয়(?) অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। . ☞ ইতিহাসঃ ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ নামে যে তৃতীয় আরেকটি ‘ঈদ’ আমাদের দেশে উৎযাপিত হচ্ছে তা কিন্তু রাসুল ﷺ ও তাঁর সাহাবীগণ পালন করে যেতে পারেন নি। কারন এই ‘ঈদ’ এর সৃষ্টি হয়েছে রাসুল ﷺ এর মৃত্যুর বহু বছর পর। ক্রুসেড বিজেতা মিসরের সুলতান ছালাহুদ্দীন আইয়ূবী (৫৩২-৫৮৯ হিঃ) কর্তৃক নিযুক্ত ইরাকের ‘এরবল’ এলাকার গভর্ণর আবু সাঈদ মুযাফ্ফর উদ্দীন কুকুবুরী (৫৮৬-৬৩০ হিঃ) সর্বপ্রথম কারো মতে ৬০৪ হিজরী ও কারো মতে ৬২৫ হিজরীতে মীলাদের প্রচলন ঘটান; রাসূল ﷺ এর মৃত্যুর ৫৯৩ বা ৬১৪ বছর পরে। এই দিন তারা মীলাদ...

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির তৈরী না নূরের?

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির তৈরী না নূরের? আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে মাটি থেকে, জিন জাতিকে আগুন থেকে এবং ফেরেশতাদেরকে নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ মাটির তৈরী একথা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)ও মানুষ ছিলেন এবং তিনিও মাটির তৈরী ছিলেন। এক্ষেত্রে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তবে অনেকে বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নূরের সৃষ্টি, অথচ কুরআন-সুন্নাহ বলছে তিনি মাটি থেকে সৃষ্টি। সাধারণভাবে চিন্তা করলে বুঝা যাবে যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা মাটির তৈরী সাধারণ মানুষ ছিলেন। তাদের উভয়ের মিলনের ফলে তিনি জন্ম লাভ করেছেন। মাটির মানুষ থেকে মাটির মানুষই সৃষ্টি হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মাটির মানুষ থেকে কি করে নূরের তৈরী মানুষের জন্ম হ’তে পারে? রাসূল (ছাঃ) বিবাহ করেছিলেন, তাঁর সন্তান-সন্ততিও ছিল। তাঁরা সবাই মাটির মানুষ ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) খাবার খেতেন, সাধারণ মানুষের মতই জীবন-যাপন করতেন এবং তাঁর প্রয়োজন ছিল পেশাব-পায়খানার। অন্য সব মানুষের মত নবী করীম (ছাঃ) মৃত্যু বরণও করেছেন। সুতরাং কোন জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ রাসূল (ছাঃ)-কে নূরের সৃষ্টি বলতে পারে না। পূর...

বিদাতিরা দলিল দেয় রাসুল নাকি নুরের তৈরী?দলিল সুরা মায়েদার ১৫ নং আয়াত।

বিদাতিরা দলিল দেয় রাসুল নাকি নুরের তৈরী?দলিল সুরা মায়েদার ১৫ নং আয়াত। সূরা মায়েদার ১৫ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নূর এসেছে এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে। উক্ত নূর দ্বারা মুহাম্মাদ (ছাঃ) যে নূরের তৈরি সে কথা বুঝানো হয়েছে। এ বক্তব্য কি সঠিক ? উক্ত ব্যাখ্যা সঠিক নয়। কারণ এখানে ‘নূর’ দ্বারা কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন শিরকের অন্ধকার হতে মানুষকে তাওহীদের আলোর পথে বের করে আনে। এখানে ‘কিতাবুল মুবীন’ (كتابٌ مبينٌ) ‘নূর’ (نُوْرٌ) -এর উপর عطف بيان হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ বলছেন, ‘তোমাদের নিকট আল্লাহ্র নিকট থেকে এসেছে একটি জ্যোতি ও সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’ (সুরা মায়েদাহ ১৫)। দু’টির অর্থ একই। এর পরের আয়াতেই যার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে يَهْدِيْ بِهِ اللهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلاَمِ ‘এর দ্বারা আল্লাহ শান্তির রাস্তাসমূহ প্রদর্শন করেন ঐ ব্যক্তির জন্য, যে তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে’.. (সুরা মায়েদাহ ১৬)। ১৫ আয়াতে বর্ণিত ‘নূর’ ও ‘কিতাব’ যদি দু’টি বস্ত্ত হ’ত, তাহ’লে ১৬ আয়াতে يَهْدِيْ بِهِ না বলে بَهْدِىْ بِهِمَا বলা হ’ত। অর্থাৎ ঐ দু’টির মাধ্যমে। যেমন পূর্ববর্তী সূরা নিসা-র শেষদিকে ১৭...

জুয়া খেলা হারাম, জুয়া খেলতে ডাকাও হারাম,

জুয়া খেলা হারাম, জুয়া খেলতে ডাকাও হারাম, {إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنْصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ} হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া আর আস্তানা ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত শয়তানী কাজ, তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সাফল্যমন্ডিত হতে পার। সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫ঃ ৯০) আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কসম করে বলে, ‘লাত ও উয্যার কসম’, সে যেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে। আর যে ব্যক্তি তার সঙ্গীকে বলে, ‘এস তোমার সাথে জুয়া খেলি’, সে যেন সাদকাহ করে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1] আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) .......... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআনের এ আয়াতদ্বয়ঃ (১) ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না, এবং (২) তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে মদ ও জুয়া সম্পর্কে। আপনি বলুনঃ এ দু'টি ভয়ংকর গুনাহের কাজ এবং মানুষের কিছু উপকারও এতে রয়েছে। এ দু'টি আয়াতের হুকুমকে সূরা মায়িদার এ আয়াতঃ নিশ্চয় মদ, জুয়া ইত্যাদি এরূপ জঘণ্য শয়তানী কাজ, যা দ্...

আল্লাহ শুনেন, দেখেন, উপকার-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ বিধান করেন। তিনি জীবন-মৃত্যুর মালিক, সকল সমস্যার একমাত্র সমাধানদাতা। সুতরাং মহান আল্লাহ নিরাকার নন; বরং তাঁর আকার আছে।

আল্লাহ শুনেন, দেখেন, উপকার-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ বিধান করেন। তিনি জীবন-মৃত্যুর মালিক, সকল সমস্যার একমাত্র সমাধানদাতা। সুতরাং মহান আল্লাহ নিরাকার নন; বরং তাঁর আকার আছে। (১) আল্লাহ বলেন, لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيْعُ البَصِيْرُ. ‘কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ৪২/১১)। (২) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, إِنَّ اللهَ كَانَ سَمِيْعاً بَصِيْراً. ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (নিসা ৪/৫৮)। (৩) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘ওটা এজন্য যে, আল্লাহ রাত্রিকে প্রবিষ্ট করেন দিবসের মধ্যে এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রির মধ্যে এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা’ (হজ্জ ২২/৬১)। (৪) ‘হে নবী! তুমি বল, তারা কত কাল ছিল, আল্লাহই তা ভাল জানেন, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্রোতা’ (কাহফ ১৮/২৬)। ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন, ‘সমস্ত সৃষ্টজীবকে আল্লাহ তা‘আলা দেখেন ও তাদের সকল কথা শুনেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না’।[13] ক্বাতাদা (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহর থেকে কেউ বেশী দেখেন না ও শুনেন না’।[14] ইবনু যায়েদ (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আ...

অধিকাংশ মানুষ যা অনুসরন করে তা সঠিক নয়

অধিকাংশ মানুষ যা অনুসরন করে তা সঠিক নয়                                                                 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيم[                                 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। অধিকাংশ মানুষ যা করে অনুসরন করে, তা সঠিক  নয়,আপনাকে মানতে হরে এক মাত্র পবিত্র কোরআন ও রাসুল (স:) এর সহীহ হাদীস। আপনি এক মাত্র পবিত্র কোরআন ও রাসুল (স:) এর সহীহ হাদীস ব্যতিত অন্য কোন পথ, মত,মযহাব,বাপ-দাদা,ইমাম-আলেম ও পীর ইত্যাদির কথা না জেনে শুনে দলীল- প্রমান ছাড়া মানেন তাহলে, আপনি সঠিক ইসলামের নাগাল পাবেন না কারন মহান আল্রাহ এ ব্যপারে পবিত্র কোরআনে বলেন- যারা নিজেদের কাছে আগত কোন দলীল ছাড়াই আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাদের একজন আল্লাহ ও মুমিনদের কাছে খুবই অসন্তোষজনক। এমনিভাবে আল্...

রুকু পেলে রাকাত হবে??

রুকু পেলে রাকাত হবে 👇🏿👇🏿👇🏿সহীহ বুখারী(তাও)অধ্যায়:আযান হাদীস নাম্বার ৭৮৩ ‎مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنِ الْأَعْلَمِ وَهُوَ زِيَادٌ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ رَاكِعٌ فَرَكَعَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الصَّفِّ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ فَقَالَ زَادَكَ اللهُ حِرْصًا وَلاَ تَعُدْ. ৭৮৩. আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এমন অবস্থায় পৌঁছলেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন রুকূ‘তে ছিলেন। তখন কাতার পর্যন্ত পৌঁছার পূর্বেই তিনি রুকূ‘তে চলে যান। এ ঘটনা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট ব্যক্ত করা হলে, তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা‘আলা তোমার আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিন। তবে এ রকম আর করবে না। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৭) সূরা ফাতিহা না পড়লে যদি সলাত না হয়, তাহলে রুকু পেলে রাকআত গণ্য হয় কীভাবে? প্রত্যেক বিষয়ের ব্যাতিক্রম অবস্থা থাকে। রুকু পেলে রাকাআত গণ্য হওয়ার ব্যাপারটাও সেই রকম। কিয়াম সলাতের রুকন। কিন্তু অসুবিধার ক্...

দীনের মধ্যে নতুন কিছুর সংযোজন করবে,তা পরিত্যাজ্য

দীনের মধ্যে নতুন কিছুর সংযোজন করবে,তা পরিত্যাজ্য ! সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)অধ্যায়: ৩৫/ সুন্নাহ হাদিস নম্বরঃ ৪৫৫১ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী। ‎ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَخْرَمِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عِيسَى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ صَنَعَ أَمْرًا عَلَى غَيْرِ أَمْرِنَا فَهُوَ رَدٌّ ‏"‏ ‏.‏ ৪৫৫১-মুহাম্মদ ইবন সাব্বাহ (রহঃ) .......... আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)  বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের এ দীনের মধ্যে নতুন কিছুর সংযোজন করবে, যা এতে নেই তা পরিত্যাজ্য।রাবী ঈসা (রহঃ) বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ আমরা যা করিনি, যদি এমন কাজ কেউ করে, তাবে তা পরিত্যাজ...

হাদিস অস্বীকারকারী কাফের

হাদিস অস্বীকারকারী কাফের __________________________ ইমাম আহমদ রহ. বর্ণিত হাদীসে এসেছে, যা মুহাদ্দিস আবদুর রাযযাক বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তাকে মা‘মার হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি হামাম ইবন মুনাব্বিহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এ হাদিসটি আমাদেরকে আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমার দৃষ্টান্ত ও তোমাদের দৃষ্টান্ত এমন এক ব্যক্তির মত, যে আগুন জ্বালালো, তারপর যখন আগুনের আশ-পাশ আলোকিত হল,তখন কীট-পতঙ্গ, পোকা-মাকড় যেগুলো আগুনের মধ্যে ঝাপ দেয়, তাতে তারা পড়তে আরম্ভ করল। আর লোকটি তাদের বাধা দিল, কিন্তু তারা তাকে পরাভূত করে তাতেই ঝাঁপ দিচ্ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার দৃষ্টান্ত এ লোকটির মতই; আমি তোমাদের কোমর ধরে তোমাদের আগুন থেকে দূরে সরাচ্ছি, বলতে থাকছি, আগুন! আগুন! তা থেকে দূরে থাক, কিন্তু তোমরা আমাকে পরাভূত করে তাতেই ঝাঁপ দিচ্ছ। (বুখারি, রিকাক অধ্যায়, হাদিস: ৬১১৮, মুসলিম, ফাযায়েল অধ্যায়, হাদিস: ২২৪৪, তিরমিযী, আমসাল অধ্যায়, হাদিস: ২৮৭৪, আহমদ, হাদিস: ৩১২/২) বুখারি ও মুসলিম হাদিস...

প্রশ্ন-কবর যিয়ারত করার সুন্নতী পদ্ধতি কি?

প্রশ্ন-কবর যিয়ারত করার সুন্নতী পদ্ধতি কি? ======================= উত্তর-কবর যিয়ারত করার সুন্নতী পদ্ধতিঃ কোন দিন-ক্ষণ নির্ধারণ না করে, দল না বেঁধে একাকী যে কোন সময় কবর যিয়ারত করতে যাবেন। সেখানে গিয়ে প্রথমে কবরবাসীকে উদ্দেশ্য করে সালাম দিবেন। বলবেনঃ *(السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ وإناَّ إنْ شاَءَ اللهُ بِكُمْ لاَحِقُوْنَ ويَرْحَمُ اللهُ الْمُسْتَقْدِمِيْنَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِيْنَ أسألُ اللهَ لَناَ وَلَكُمُ الْعاَفِيَةَ)* অর্থঃ *হে কবরের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ, আপনাদের প্রতি শান্তি ধারা বর্ষিত হোক। নিশ্চয় আমরাও আপনাদের সাথে এসে মিলিত হব ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের উপর রহম করুন, আমি আমাদের জন্য আপনাদের জন্য আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, ইবনু মাজাহ)* এভাবে সালাম দেয়ার পর কবরবাসীর জন্য জানা যে কোন দু'আ পাঠ করবেন। কবরবাসির জন্য দু'আ করার সময় কবরের দিকে মুখ করে ২ হাত তুলে একাকি দু'আ করা যাবে কিন্তু নিজের জন্য দু'আ করতে কেবলার দিকে মুখ রেখে হাত তুলে দুয়া করবেন। কবর ...