জ্বর কোনো অসুখ নয়, এটা বরং শক্তিশালী immune system-এর প্রমাণ। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা জ্বরকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে এবং জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণের বৃথা চেষ্টা চালিয়ে (জীবাণু ধ্বংসের সুযোগ না দিয়ে) শরীরের ভেতরে আরো বড় ধরনের স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয় (কেউ সেটা জানতেও পারে না)! শরীর গরম হওয়া বা জ্বর (pyrexia) অতি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া- যা আমাদেরকে বড় ধরনের শারীরিক ঝুঁকি থেকে বাঁচায় এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। জীবন্ত মানবদেহ যেহেতু চলমান যন্ত্র (running machine), এর তাপমাত্রা আশেপাশের পরিবেশ থেকে সর্বদা একটু বেশি থাকবে- এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে জ্বর (fever) হিসেবে গণ্য করা হয়। এমনটা তখনই ঘটে- আমাদের শরীরে যখন কোনো অপরিচিত ভাইরাস/ব্যকটেরিয়া প্রবেশ করে। শরীর তখন অপরিচিত element-কে ধ্বংস করার জন্য নিজে থেকেই সক্রিয় (গরম) হয়ে ওঠে- শরীরের নিজস্ব mechanism এমন তাপ তৈরি করে যেন সেই অপরিচিত element নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়? এটাই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, মানে শরীরের auto system (জীবাণু প্রতিরোধক ব্যবস্থা) হিসেবে জ্বরটা থাকে/ওঠে...
আপনি কি অসুস্থ? রোগে ভুগছেন? সমস্যা যেটাই হোক না কেন, মাত্র এক সপ্তাহের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় যে কোনো জটিল রোগ থেকে মুক্তিলাভের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব! মনে রাখবেন- চিকিৎসা মাফিয়ারা (তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে) যে রোগকে যত জটিল বলে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে, তার তত সহজ প্রাকৃতিক সমাধান রয়েছে। আপনি যে রোগেই আক্রান্ত হন না কেন, রোগমুক্ত হওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায় নিম্নরূপ :- ঘরে বসে নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা শুরুর প্রথম তিনদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস, ভিনেগার আর যৎসামান্য প্রাকৃতিক মধু মিশিয়ে পান করতে থাকুন। সারাদিনের মধ্যে মাত্র এক-দু’বার এক গ্লাস বিভিন্ন সবুজ পাতার (তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, লেটুসপাতা, ধনেপাতা ইত্যাদি ব্লেন্ড করে) রস পান করতে পারেন। এর বাইরে অন্য কোনোকিছু ছুঁয়েও দেখবেন না। বিশেষ এই পানীয় অবশ্যই মাটির সমতলে বসে (দুই হাতে গ্লাস ধরে) কুলি করতে করতে কমপক্ষে তিন বা ততধিক শ্বাসে (ঢোকে) পান করবেন। প্রথম তিনদিনের জলচিকিৎসার জন্য জমজম কূপের পানি যোগাড় করতে পারলে খুব ভালো হয়। নিদেনপক্ষে পাহাড়ি ঝর্ণার পানি যোগ...