*‼️আমার মৃত্যুর পর আমার ওসিয়্যাত*
——————————————
আমিঃ-………………………..
পিতাঃ-…………………………
ঠিকানাঃ-………………………
🔲⬛️🔲⬛️🔲⬛️🔲⬛️🔲
*‼️আসুন প্রস্তুতি নেই সেই যাত্রার, যেই যাত্রা অবশ্যই সুনিশ্চিত*
♻️♻️♻️♻️♻️♻️♻️♻️
*❇️❇️ আমি মনে প্রানে স্বীকার করছি যে আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত সত্যিকারে হক্ব কোন মাবুদ নেই,এবং আরও স্বীকার করতেছি যে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত বান্দা ও রাসুল। ✅ অতপরঃ-জীবদ্দশায় স্বজ্ঞানে আমি আমার পরিবার-পরিজন সহ নিকটতম আত্মীয় স্বজন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধবদের কাছে কিছু ওসীয়্যত করিতেছি যেন আমার মৃত্যুর পর তা পালন করা হয় !!*
“আমার শেষ কথা যেন কালিমা শাহাদাত হয় ! এবং যেন এরুপ হয়
————————————
“হে আল্লাহ আমায় ক্ষমা করে দাও, আমার উপর রহম করো,আমাকে উওম বন্ধুর সাথে মিলিয়ে দাও” —-বোখারী-১৭০৫
*🔲🔲 মৃত্যুর সময় যেন আল্লাহর কাছে ক্ষমার আশা এবং তার উপর উওম ভাল ধারনা নিয়ে যেন মরন হয়!*——মুসলিম-৪৫৫
◾️০১-আমার মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম আমার ঋন থাকিলে পরিশোধ করিবে। কারন “ঋন থাকিলে মুমিনের রুহ লটকে থাকে যতক্ষন না আদায় করা হয়।” —হাদীস —তিরমিজি—৮৬০
◾️০২-আমার মৃত্যর পর যেন কোনোরুপ বিলাপ বা চিৎকার করে কান্নাকাটি করা বা মাতম না করা হয়। —সহী বোখারী-১২১২
◾️০৩- মৃত্যর খবর পৌঁছানো কিংবা কাফন-দাফন কার্য্যে যেন বিলম্বিত না হয় ! যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব যেন করা হয়!*
◾️০৪-আমার মৃত্যুকে কেহ অকাল মৃত্যু বলবেন না, কারন মৃত্যু নির্ধারিত,যখন যেখানে যেভাবে লিখা রয়েছে তাই হয়েছে। ——সুরা ইউনুস-৪৯
◾️০৫-আমার পরিবার ছেলে-মেয়ে বন্ধু-বান্ধব কেহ উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করবেনা ( চুপে চুপে অশ্রু ঝরানো বৈধ )-বোখারী। ধৈর্য্য ধারণ করলে এর বিনিময় জান্নাত। -ইবনে মাজাহ
◾️০৬-আমার মৃত্যুর পর শোক প্রকাশের জন্য লাশের পাশে কিংবা কবরস্থানে কুরআন খতম বা তিনদিন বা চল্লিশা মিলাদের আয়োজন কিংবা খাবারের (যিয়াফত) আয়োজন থেকে বিরত থাকবে। জরীর ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ তথা সাহাবীগণ এগুলোকে বিলাপ বা মাতমের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। —-ইবনে মাজাহ-১৩০৮ (বিদআত)
◾️০৭-মৃতের উপর তিনদিনের বেশি শোক নেই শুধু স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রী চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করবে। -বোখারী ও মুসলিম
◾️০৮-আমার মৃত্যুর পর আমার স্হায়ী-অস্হায়ী যাবতীয় সম্পদ শরীয়তি পদ্ধতিতে সুরা নিসার ১১ নম্বর আয়াত অনুযায়ী বন্ঠন করবে। প্রথমে আমার ঋন পরিশোধ করবে তারপর আমার বৈধ ওসিয়্যাত পুর্ন করবে তারপর সম্পত্তি বন্ঠন করে নিবে। খবরদার কন্যা বা মেয়ে সন্তানের হক্ব যেন নস্ট করা না হয়!*—সুরা নিসা-আয়াত-১১
◾️০৯-আমার লাশ মাহরাম ছাড়া অন্য কাউকে দেখাবেনা।
◾️১০-বিজ্ঞ আলেমদের তত্বাবধানে (সঠিক সুন্নাহ পদ্ধতিতে) গোসল,জানাযা, লাশ দাফন সম্পন্ন করবে কো-ন প্রকার বিদআতি পদ্ধতি যেন অবলম্বন করা না হয়।
◾️১১-লাশের উপর সজ্জিত কোন চাদর আরবী লিখা এবং জানাযার সাথে আগুন যেমন আগরবাতি উচ্চস্বর যেমন কালিমা তায়্যিবাহ জোরে জোরে পাঠ করা যেন না হয় বরং মনে মনে দুআ করবে।
◾️১২-আমাকে কবরস্হ করার পর কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন এবং হাত উত্তোলন বা সম্মিলিত মুনাজাত না করে হাদীসে বর্নীত পদ্ধতিতে মনে মনে এই দুআ পাঠ করবেন সবাই
اللهم اغفر له, اللهم ثبته
আল্লা-হুম্মাগ ফিরলাহু-আল্লা-হুম্মা সাব বিতহু
◾️১৩-আমার কবরে রাখার সময় পায়ের দিক দিয়ে আগে নামাবে এটাই সুন্নাত-আবু দাউদ
◾️১৪-আমার কবরের মাটির উচ্চতা যেন এক বিঘতের বেশি না হয়। কবর উঁচু করা ও পাকা করা এবং নেমপ্লেটে নাম সহ জন্ম মৃত্যুর তারিখ বা কোনোকিছু লিখার বোর্ড যেন না থাকে। কারন রাসুল সাঃ নিষেধ করেছেন—সহী মুসলিম
◾️১৫-কবরের নিদর্শন রাখার জন্য বা নিরাপত্তার জন্য অস্হায়ী বেড়া বা মাথার কাছে ও পায়ের কাছে নিদর্শন স্বরূপ পাথর রাখলেই হবে। -ইবনে মাজাহ-১২৬৭
◾️১৬-আমার মৃত্যুর পর আমার সাদকায়ে জারীআহ মুলক (জনকল্যাণমূলক) কাজগুলো চালু রাখবেন বা আমার হয়ে দান-সাদাকাহ করবেন।
◾️১৭-আমার পরিবারের খোঁজখবর রাখবেন (বন্ধু-বান্ধবগন) আর আমার ঈসালে ছাওয়াব হিসেবে সকলের জন্য সুপেয় পানীর ব্যাবস্হা করবেন যদি সম্ভব হয়।
◾️১৮-মৃত্যের দৃষ্টান্ত ডুবন্ত ব্যাক্তি ফরিয়াদকারীর ন্যায় সর্বদা দুআর অপেক্ষায় থাকে। পৃথীবিবাসীর দুআ মৃত্যের জন্য পাহাড়সম ছাওয়াব এবং সর্বোওম হাদীয়া বা তোহফা হয়। অতএব আমার জন ক্ষমা প্রার্থনার দুআ করবেন।
◾️১৯-আমার মৃত্যু থেকে এই শিক্ষা নিয়ে ফিরে যাবেন আপনার সময় ও যে কোন সময় নিকটেই !!! সুতরাং মৃত্যুটাই একান্ত নিজের-বাকীটা সবাই ভাগ-বন্ঠন করে নেয়।
—————————————-
#আসুন সবাই ঈমান সংশোধন করি ঈমানের ০৬ টি রোকন বুজে তাওহীদের দাবী পুরন করি। এবং নেক আমলে যত্নবান হই। আল্লাহর হক্বের ক্ষেত্রে সর্বদা তাওবাহ করি। বান্দার হক্বের ক্ষেত্রে পরিশোধ বা মাফ চেয়ে নেই।
উওম মৃত্যুর প্রার্থনা করি সবাই। আমীন সুম্মা আমিন
🔳🔳🔳🔳🔳🔳🔳🔳🔳
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন