" মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত " এই কথার অর্থ হচ্ছে যে, একজন মুসলিম মসজিদে নামাজ আদায় করে আল্লাহর জিকিরে লিপ্ত থাকে আর বিপরীতে সে জান্নাতের আশা করে। অর্থাৎ জান্নাতে যাবার জন্য সে মসজিদে প্রবেশ করে থাকে।কথাটি অনেকেই অন্যকে উপহাস করার জন্য বলে থাকেন।
যেমন :- গতকাল আর্জেন্টিনা হারলো
তাতে কেউ বলেছেন "মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত"। আসলে সে তো মসজিদে নামাজ আদায় করে জান্নাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর মুসলমানদের কম্য হচ্ছে জান্নাত। তাহলে আর্জেন্টিনার হার কি তাদের গন্তব্য স্থলে পৌছাতে পেরেছে..???
তার মানে দাড়াচ্ছে আর্জেন্টিনা হেরে গন্তব্যহীন / সে এমাত্রাই সফল না কারন সে কাংক্ষিত লক্ষে পৌছাতে পারেনি।
কিন্তু মুসলমান মসজিদের দিকে দৌড়িয়ে, প্রবেশ করে সফল না এটা কোন মুসলমান জেনে বলার কথা না।
অনেক ক্ষেত্রেই উদাহারন হিসাবে "মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত "। এই কথাটি অন্যকে উপহাস করার জন্য বলে থাকি আমরা। অথচ তা হয়তো না জানার কারনে বা যা বলতেছি তা নিয়ে চিন্তা / উপলব্ধি না করেই বলে থাকি।
★ আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)।
★ মুনাফেকদের প্রথম পরিচয় ছিল, তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করতো, তাদেরকে বোকা ভাবতো। আল্লাহ পাক তাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছেন, ‘তারাই বোকা অথচ নিজেরা তা জানে না।’ (সূরা বাকারা-১৩)
►ইমাম ইবনে কুদামাহ লিখেছেন, যে আল্লাহকে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় গালি দিল, কিংবা যে আল্লাহ বা তার রাসূল কিংবা দ্বীনের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করল, সে কাফের হয়ে গেল। (আল মুগনী)
►ইমাম নববী বলেন, স্বেচ্ছায় কিংবা কেউ যদি স্পষ্টভাবে এমন কোন কথা বলে যা আল্লাহ ও তার রাসূলের কোন বিধানকে তুচ্ছ করে, তা অবশ্যই কুফুরী।
►ইমাম কুরতুবী লিখেছেন, মজা করার জন্য হোক বা সত্যি সত্যি হোক, ইসলামের কোন সাধারণ বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করা কুফুরী। এতে কারো দ্বিমত নেই।
►ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, দ্বীনের যে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা কুফুরী। যে এমন করল তার ঈমান ধ্বংস হয়ে কুফুরীতে পরিণত হল।
আজকাল হরহামেশা অনেক লেখক সাহিত্যিক ইসলাম নিয়ে তির্যক লেখা লিখেন, না জেনে না বুঝে এ বিষয়ে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে ডুবে যান কুফুরীর অতল সাগরে। মুসলমানী নামটুকু ছাড়া তার আর কিছুই বাকী থাকেনা।
আল্লাহ পাক এমন লোকদেরকে বলছেন,
‘আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তারা বলবে, আমরা একটু হাসি তামাশা করছিলাম। আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে নিয়ে এবং তার আয়াতসমূহ ও তার রাসূলকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছ? তোমরা কারণ দেখিয়ো না, তোমরা তো তোমাদের ঈমানের পরও কুফুরী করে ফেলেছো।’ (সূরা তওবা-৬৫-৬৬)
পবিত্র কুরআনে অভিশপ্ত জাতিদের যেসব ঘটনা বিবৃত রয়েছে, তারা তাদের নবীকে নিয়ে এভাবে ব্যঙ্গ করতো, নবীর অনুসারীদের নিয়ে পথে ঘাটে বিদ্রুপ করতো, আল্লাহ পাক তাদেরকে সমুচিত জবাব দিয়েছেন, পরকালেও তাদেরকে এর বদলা দিবেন। মদীনার মুনাফিকদের অবস্থাও ছিল এরকম। হাদীসের কিতাবসমূহে এর বিবরণ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত।
আল্লাহ আমাদের কে সঠিক বুঝ দান করুন,আমিন।
যেমন :- গতকাল আর্জেন্টিনা হারলো
তাতে কেউ বলেছেন "মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত"। আসলে সে তো মসজিদে নামাজ আদায় করে জান্নাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর মুসলমানদের কম্য হচ্ছে জান্নাত। তাহলে আর্জেন্টিনার হার কি তাদের গন্তব্য স্থলে পৌছাতে পেরেছে..???
তার মানে দাড়াচ্ছে আর্জেন্টিনা হেরে গন্তব্যহীন / সে এমাত্রাই সফল না কারন সে কাংক্ষিত লক্ষে পৌছাতে পারেনি।
কিন্তু মুসলমান মসজিদের দিকে দৌড়িয়ে, প্রবেশ করে সফল না এটা কোন মুসলমান জেনে বলার কথা না।
অনেক ক্ষেত্রেই উদাহারন হিসাবে "মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত "। এই কথাটি অন্যকে উপহাস করার জন্য বলে থাকি আমরা। অথচ তা হয়তো না জানার কারনে বা যা বলতেছি তা নিয়ে চিন্তা / উপলব্ধি না করেই বলে থাকি।
★ আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)।
★ মুনাফেকদের প্রথম পরিচয় ছিল, তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করতো, তাদেরকে বোকা ভাবতো। আল্লাহ পাক তাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছেন, ‘তারাই বোকা অথচ নিজেরা তা জানে না।’ (সূরা বাকারা-১৩)
►ইমাম ইবনে কুদামাহ লিখেছেন, যে আল্লাহকে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় গালি দিল, কিংবা যে আল্লাহ বা তার রাসূল কিংবা দ্বীনের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করল, সে কাফের হয়ে গেল। (আল মুগনী)
►ইমাম নববী বলেন, স্বেচ্ছায় কিংবা কেউ যদি স্পষ্টভাবে এমন কোন কথা বলে যা আল্লাহ ও তার রাসূলের কোন বিধানকে তুচ্ছ করে, তা অবশ্যই কুফুরী।
►ইমাম কুরতুবী লিখেছেন, মজা করার জন্য হোক বা সত্যি সত্যি হোক, ইসলামের কোন সাধারণ বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করা কুফুরী। এতে কারো দ্বিমত নেই।
►ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, দ্বীনের যে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা কুফুরী। যে এমন করল তার ঈমান ধ্বংস হয়ে কুফুরীতে পরিণত হল।
আজকাল হরহামেশা অনেক লেখক সাহিত্যিক ইসলাম নিয়ে তির্যক লেখা লিখেন, না জেনে না বুঝে এ বিষয়ে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে ডুবে যান কুফুরীর অতল সাগরে। মুসলমানী নামটুকু ছাড়া তার আর কিছুই বাকী থাকেনা।
আল্লাহ পাক এমন লোকদেরকে বলছেন,
‘আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তারা বলবে, আমরা একটু হাসি তামাশা করছিলাম। আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে নিয়ে এবং তার আয়াতসমূহ ও তার রাসূলকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছ? তোমরা কারণ দেখিয়ো না, তোমরা তো তোমাদের ঈমানের পরও কুফুরী করে ফেলেছো।’ (সূরা তওবা-৬৫-৬৬)
পবিত্র কুরআনে অভিশপ্ত জাতিদের যেসব ঘটনা বিবৃত রয়েছে, তারা তাদের নবীকে নিয়ে এভাবে ব্যঙ্গ করতো, নবীর অনুসারীদের নিয়ে পথে ঘাটে বিদ্রুপ করতো, আল্লাহ পাক তাদেরকে সমুচিত জবাব দিয়েছেন, পরকালেও তাদেরকে এর বদলা দিবেন। মদীনার মুনাফিকদের অবস্থাও ছিল এরকম। হাদীসের কিতাবসমূহে এর বিবরণ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত।
আল্লাহ আমাদের কে সঠিক বুঝ দান করুন,আমিন।
আসসালামু আলাইকুম। "মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত" একথার অর্থ হচ্ছে মোল্লার জ্ঞান মসজিদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ। এই বাগধারার উতপত্তি হয়েছে আমাদের দেশের কাঠমোল্লাদের ইংগিত করে যারা ইংরেজি শিক্ষাকে হারাম বলত। কিংবা তাবিজ-কবজের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে সে মসজিদে কয়বার যায় ঔটা নিয়ে টান দিত। কেউ মসজিদে সময় কাটায় জান্নাত লাভের জন্য এটাকে ব্যাঙ্গ করে এই বাগধারার জন্ম হয় নাই। আর মানুষ যখন এই বাগধারা ব্যাবহার করে তখন তারা ধর্মপ্রাণ মুমিন ব্যাক্তিদের কথা মাথায় রেখে এটা ব্যাবহার করে না বরঞ্চ ধর্মব্যাবসায়ী মোল্লাদের কথা মাথায় রেখে একথা ব্যাবহার করে। আর আমাদের আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালা, মিথলজিকাল ধর্মের দেব-দেবীদের মত নয় যে মুখে একটা ভুলে বলা হয়েছে তো নরকে গেছে। আল্লাহ-তায়ালা হচ্ছেন আলিমুল গায়েব, উনি আপনার বাহ্যিক রুপ দেখে আপনাকে জাহান্নামে নিবেন না বরং আপনার ভেতরে কি আছে সেটা দেখবেন।
উত্তরমুছুন