সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে

গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্‌শির অধ্যায়ঃ মুনাজাত ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে নামাযী যখন নামায পড়ে তখন সে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করে। আল্লাহর সাথে নিরালায় যেন কানে কানে কথা বলে। (মুঅত্তা, মুসনাদে আহ্‌মদ ২/৩৬, ৪/ ৩৪৪) নামাযের মাঝেই আব্দ (দাস) মাবুদের (প্রভুর) ধ্যনে ধ্যানমগ্ন থাকে। যেন সে তাকে দেখতে পায়। যতক্ষণ সে নামাযে থাকে ততক্ষণ সে আল্লাহর সাথে কথা বলে। তিনি তার প্রতি মুখ ফিরান এবং সালাম না ফিরা পর্যন্ত তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন না। (বাইহাকী, সহীহুল জামে’১৬১৪ নং) পরক্ষণে যখনই সে সালাম ফিরে দেয়  তখনই সে মুনাজাতের অবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, দূর হয়ে যায় নৈকট্যের বিশেষ যোগসূত্র। বান্দা সরে আসে  সেই মহান বিশ্বাধিপতির খাস দরবার থেকে। সুতরাং তার নিকট কিছু চাওয়া তো সেই সময়ে অধিক শোভনীয় যে সময়ে ভিখারী বান্দা তাঁর ধ্যনে তার নিকটে ও তাঁর খাস দরবারে থাকে। অতএব সেই নৈকট্যের ধ্যান ভঙ্গ করে এবং মহানবী (সাঃ) এর নির্দেশিত মুনাজাত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় মুনাজাত সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত নয়। অবশ্য সহীহ হাদীসে বর্ণিত যে, একদা সাহাবাগণ আল্লাহর রসূল (সাঃ) কে কোন্‌ সময় দুআ অধিকরুপে কবুল হয় - ...

আগে সালাম দেওয়া

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اَلسَّلاَمُ قَبلَ السَّؤَالِ؛ فَمَنْ بَدَأَكُمْ بِالسَّؤَالِ قَبْلَ السَّلاَمِ فَلاَ تُجِيْبُوْهُ. ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, জিজ্ঞাসা বা কথপোকথনের পূর্বে সালাম হতে হবে। অতএব যে ব্যক্তি সালামের পূর্বেই জিজ্ঞাসা বা কথপোকথন শুরু করবে তোমরা তার কথার উত্তর দিয়ো না (সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮১৬)। অত্র হাদীছ প্রমাণ করে যে, বক্তব্য বা যে কোন কথার পূর্বে সালাম হতে হবে।।-----عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَأْذِنُوْا لِمَنْ لَمْ يَبْدَأْ بِالسَّلاَمِ. জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রথমে সালাম প্রদান না করে, তাকে তোমরা কথা বলার বা প্রবেশের অনুমতি দিয়ো না (সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮১৭)। অত্র হাদীছগুলি দ্বারা স্পষ্টরূপে প্রমাণিত হয় যে, কথা বলার পূর্বে অথবা কোন স্থানে বা বাড়ীতে প্রবেশের পূর্বে সালাম প্রদান করা যরূরী।

আমি কি অনুগ্রহপূর্বক আর একবার সুযোগ পেতে পারি ?

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- আপনি দাঁড়িয়ে আছেন এই মুহূর্তে আল্লাহ্‌ তায়ালার সামনে, পাশাপাশি সমগ্র মানবজাতিও একই প্রত্যাশা নিয়ে । জাহান্নাম আপনার বামে আর জান্নাত আপনার ডানে । পৃথিবীর প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত, সবাই একত্রে উপস্তিত । “আজকের দিনে কি হবে তাদের পরিনতি”? কোন আওয়াজ নেই । সবাই নগ্নদেহে কিন্তু আজকে অস্বাভাবিকভাবেই কেউ কাউকে নিয়ে চিন্তিত না । সবার মাথায় একটা প্রশ্নই তাদেরকে চিন্তিত করছে, আজকে তাদের চিরন্তন আবাস কোনটি হবে, “জান্নাত নাকি জাহান্নাম”?  আল্লাহ রাব্বূল আলামীনের বানী হল (অর্থের ব্যাখ্যা), “তাদের সবাইকে তোমার মালিকের সামনে সারিবদ্ধভাবে এনে হাযির করা হবে, অতঃপর আমি বলবো, আজ তো তোমরা সবাই আমার কাছে এসে গেছো ঠিক যেমনি করে আমি তোমাদের প্রথম বার পয়দা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা অনেকেই মনে করতে, আমি তোমাদের দ্বিতীয় বার আমার কাছে হাযির করার জন্য কোনো সময়সূচী নির্ধারণ করে রাখিনি”। (সূরাঃ আল-কাহাফ, আয়াতঃ ৪৮) আপনি দাঁড়িয়ে আছেন অত্যন্ত আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে । একজন মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আপনার পুরো জীবনে হাতে গুনা যাবে এমন কয়েক রাকাত অথবা কয...

মসজিদে ডুকে দুই রাকাত নামায পড়া

মসজিদে ডুকে দুই রাকাত নামায পড়া:- আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণীত, আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বসার আগে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নেয়। (তিরমিযি, ১ম খন্ড, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সালাতের সময়সূচি অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১২৩, হাদিস নং ৩১৬) _______________________ আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণীত, আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বসার আগে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নেয়। দু’রাকআত সালাত আদায় করার পর বসবে নতুবা প্রয়োজন সেরে বের হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, ১ম খন্ড, সালাত অধ্যায়, হাদিস নং ৪৬৭) _______________________ এই হাদিসটি প্রমান করে- কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে বসার পূর্বেই আল্লাহ্‌র ঘরের সম্মানার্থে দু’রাকআত সালাত আদায় করবে। _______________________ আব্দুল্লাহ ইবনু আবু সালামাহ (রঃ) সুত্রে বর্ণীত, আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণীত, আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বসার আগে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নেয়। (সহিহ মুসলিম, ২য় খন্ড, মুসাফিরের সালাত ও ক্বসর অধ্যায়, হাদিস নং ১৫৩৯) ________________...

তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার

তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার এ শিরোনামের অধীন চারটি বিষয় আলোচনা করব: ক. ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ, খ. কুরআন-হাদিসের তাবিজ, গ. তাবিজ ঝুলানো কোন প্রকার শিরক, ঘ. চিকিৎসা পদ্ধতি, শরয়ী ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজের পার্থক্য। ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ ইমরান বিন হুসাইন রাদিআল্লাহু ‘আনহুথেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তির হাতে তামা/স্বর্ণের আংটি দেখে বললেন, «وَيْحَكَ مَا هَذِهِ ؟ " قَالَ: مِنَ الْوَاهِنَةِ، قَالَ: " أَمَاإِنَّهَا لَا تَزِيدُكَ إِلَّا وَهْنًا، انْبِذْهَا عَنْكَ، فَإِنَّكَ لَوْ مِتَّوَهِيَ عَلَيْكَ مَا أَفْلَحْتَ أَبَدًا» “ধ্বংস তোমার, এটা কী? সে বলল: অহেনার[1] অংশ। তিনি বললেন: মনে রেখ, এটা তোমার দুর্বলতা ব্যতীত কিছু বৃদ্ধি করবে না, এটা তোমার থেকে ছুড়ে মার, কারণ তুমি যদি মারা যাও আর এটা তোমার উপর থাকে, তুমি কখনো সফল হবে না”[2] উকবা বি...

প্রশ্ন:-আমাদের কি চার ইমামের মধ্যে এক ইমামের কথা মেনে চলা ফরজ?

প্রশ্ন:-আমাদের কি চার ইমামের মধ্যে এক ইমামের কথা মেনে চলা ফরজ? উত্তর:-আল্লাহ তাদেরকে শান্তিতে রাখুন,আমি চার ইমামকেই সম্মান করি,কিন্তু তাদের সব কথাকে গ্রহণ করতে পারিনা। 1⃣ইমাম আবু হানিফা(রাহিমাহুল্লাহ)বলেছেন:- (1)যখন হাদিস সহীহ পাবে,সেটাই আমার মাযহাব|[ইবনুল আবেদীন 1/63,ঈকাযুল হিমাম 62 নং পৃষ্ঠা,রাসফুল মুফতী] (2)কারো জন্য আমাদের কথা মেনে নেওয়া বৈধ নয়,যতক্ষণ না সে জেনেছে যে,আমরা তা কোথা থেকে গ্রহণ করেছি|[ইবনুল আবেদীন 6/293,ইলামুল মুওয়াক্কিঈন 2/309] (3)যে ব্যক্তি আমার দলিল জানেনা,তার জন্য আমার উক্তি দ্বারা ফতোয়া দেওয়া হারাম|[আন নাফিউল কাবীর 135 নং পৃষ্ঠা] (4)যদি আমি এমন কথা বলি,যা আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের হাদিসের বিপরীত হয়,তাহলে আমার কথাকে দেওয়ালে ছুঁড়ে মারবে|[ঈকাযুল হিমাম 50 নং পৃষ্ঠা] (5)আমরা তো মানুষ|আজ এক কথা বলি,আবার কাল তা প্রত্যাহার করে নিই|[ওয়া যাহাকাল বাতিল 18 নং পৃষ্ঠা] 2⃣ইমাম মালেক(রাহিমাহুল্লাহ)এর উক্তি:- (1)আমিতো একজন মানুষ মাত্র |আমার কথা ভুল হতে পারে আবার ঠিকও হতে পারে|সুতরাং তোমরা আমার মতকে বিবেচনা করে দেখ|অতঃপর যেটা আল্লাহর কিতাব ও সুন্নাহর অনুকূল পাও,তাহ...

সালাফী

🌹লামাযাবী 🌹আহলে হাদিস 🌹সালাফী 🌹ওহাবী 🌹 এদের কে আমরা ব্যঙ্গ করে বলি,এরা 🌹ইয়াহুদির দালাল। 🌹আমেরিকার দালাল। 🌹মুসলিমদের ভাগকারী। 🌹ফিতনাকারী। 🌹মাযহাব মানে না। আগে আসুন আমরা সত্যটা জানি। তারপর বিচার করি 🎾বেয়াদব লামাযাবী/ওহাবীরার , আহলে হাদিসের দোষ / গুন গুলো কি কি? ☑ওরা আল্লাহ ও নাবী(স:)কে মানে। কারণ-- 📖 সুরা মুহাম্মদ:৩৩, হাশর:৭ ☑ওরা কুরআন ও সহি হাদিস মানে। কারণ-- 📖 সুরা মুহাম্মদ:৩৩ ☑ওরা সহিহ আকিদার। কারণ-- 📖 ওসব সুন্নাহ ☑ওরা বলে আমরা মুসলিম। কারণ-- 📖 সুরা হাজ্জ:৭৮ ☑ওরা আমিন জোড়ে বলে। কারণ-- 📖 আবু দাউদ:৯৩২,৯৩৩, ৯৭২ ,তিরমিঝি:২৪৮,বুখারী:৭৮০, ৭৮২, ☑ওরা সুরা ফাতেহা পড়ে। কারণ-- 📖 তিরমিঝি, নাসাঈ, বুখারী, মুসলিম,ইবনে মাজাহ,আবু দাউদ:৮২৩। ☑ওরা রাফল ঈয়াদাইন করে। কারণ-- 📖 বুখারী:৭৩৫, ৭৩৬, ৭৩৮, ৭৩৯, মুসলিম:৮৮৭, ৮৮৮, ৮৮৯, ৮৯০,৮৯১ আবু দাউদ:৭৪৪, মিশকাত:৭৯৪, ৭৯৫। ☑ওরা বুকে হাত বাধে। কারণ-- 📖 বুখারী:৭৪০, মুসলিম:৯২৩, মিশকাত:৭৯৮ ☑ওরা সালাত যত্নসহ পড়ে। কারণ- 📖 সুরা মা'আরিজ: ৩৪-৩৫) ☑ওরা আট রাকাত তারাবী পড়ে। কারণ-- 📖 বুখারী, অ:তাহাজ্জুদ: ১১৪৭) ☑ওরা এ...