সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহর

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

এই পোস্ট কপি শেয়ার করা আপনার ঈমানী
দায়ীত্ব। আপনার শেয়ারকৃত এই স্ট্যাটাস পড়ে
কেউ অনুপ্রাণিত হয়ে এই মহৎ কাজে অংশগ্রহন
করলে আপনি কতটুকু লাভবান হবেন সেটার
হিসাব কোন মানুষের পক্ষে দেয়া সম্ভব না। তাই গণহারে শেয়ার করুন,

আসমা বিন্তু আবূ বাকর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি এক সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাঁকে বললেনঃ তুমি সম্পদ জমা করে রেখো না, এরূপ করলে আল্লাহ তোমা হতে তা আটকেইও রাখবেন। কাজেই সাধ্যানুসারে দান করতে থাক।

শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ প্রায়
প্রতিদিন মাহফিল করে বেড়ান। দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তর যাওয়ার কারনে
তিনি প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি এই মাহফিল করে যেই টাকা পান সেটা
দিয়ে "আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহ" নারায়ণগঞ্জ ও রাজশাহী
মাদ্রাসায় খরচ করেন।ওয়াজের টাকা দিয়ে মাদরাসা চালান শায়খ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ শুনুন ড: মুসলহেুদ্দীনের মুখে
https://www.youtube.com/watch?v=2fApGDZJhp8

আমার প্রশ্নঃ-দ্বীনের খেদমত কি শুধু শায়খ গন একাই করবেন?
আমরা কি এই খেদমতে অংশগ্রহন করতে
পারিনা??

বাংলাদেশের মাটিতে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে 'শায়খ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ' গত ২৪ আগস্ট ২০১৩ সালে রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে এবং গত ২০১৬ সালের ফেব্রয়ারী মাসে রাজশাহীতে 'আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহ' নামে দু‘টি যুগোপযোগী মানসম্মত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন ।আলহামদুলিল্লাহ্‌ রাজশাহী ও ঢাকার উভয় প্রতিষ্ঠানে শুধু শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রতি মাসে ৭ লক্ষ ৩০ হাযার টাকা খরচ হয়।
আল-জামিআহ আস-সালাফিয়্যাহ নারায়ণগঞ্জের মসজিদ ও মহিলাদের আবাসিক জমি ক্রয় ও ভবন বাবদ প্রায় ৪/৫ কোটি টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, রাজশাহীতে ছাত্রদের আবাসিক ভবন ৫ তলা সম্পন্ন করতে, মসজিদ, ছাত্রীদের আবাসিক ভবন ও ক্লাস রুম নির্মাণ করতে প্রায় ৫/৬ কোটি টাকা খরচ হবে।
আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহ নিয়ে শায়খের অনেক বড় স্বপ্ন,বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
হবে। যেখান থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ দ্বীনের খাদেম বের হবে।
এই প্রতিষ্ঠান এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত
হবে। বের হবে কুরআন
হাদিসের বুঝ সম্পন্ন ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার ইনশাআল্লাহ।

এই মহৎ স্বপ্ন পুরনে কি আমরাও অংশগ্রহন
করতে পারিনা?
আবু যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নাবী (সাঃ)-এর নিকট পৌছলাম। সে সময় নাবী (সাঃ) কা'বা ঘরের ছায়ায় সমাসীন ছিলেন। তিনি আমাকে দেখে বললেন : কা'বার প্রতিপালকের কসম! তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমি বললাম, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক!তারা কারা? নাবী (সাঃ) বললেন: যাদের সম্পদ বেশি তারা; তবে ঐ ব্যক্তির কথা ভিন্ন যে এরুপ করে, এরুপ করে,এরুপ করে (অর্থাৎ হাতের তালু ভর্তি করে দান-খয়রাত করে) নিজের সামনের দিকে,পিছেন দিকে,বাম দিকে ও ডান দিকে। অবশ্য এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম।
হাদীস বুখারী,মুসলিম

আলহামদুলিল্লাহ, এই দেশে সহীহ আক্বিদার লোক সংখ্যা প্রায় ৩ কোটির অধিক হবে।
আমরা কি প্রতি মাসে #আজিবন_দাতা_সদস্য_হিসাবে ৫০০ টাকা ১০০০টাক অথবা আমাদের সাদ্দমত আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহতে দান করতে পাড়িনা?

 সদাক্বাহে জারিয়ার উদ্দেশ্যে দান করে দ্বীনের খেদমতে অংশগ্রহন করতে পারিনা?

আমরা দৈনিক চায়ের দোকানে বসে আড্ডায় কত টাকা অপচয় করছি। কিন্তু
প্রতিমাসে ১ বার করে ৫০০ টাকা ১০০০টাকা মাদ্রাসায়
দান করলে কি খুব বেশি আর্থিক সমস্যায় পড়ে
যাবো কি?
তাছাড়া কবরে যাওয়ার পর সাদক্বাহ জারিয়া তো আছেই। অনেকের মা বাবা আত্মীয় স্বজন
দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে, তাদের নামে এই দান প্রতিমাসে ১বার করতে পারেন ইনশাআল্লাহ

এই টাকা দিয়ে কত আলেম তৈরী হবে।
আল্লাহু আকবর। সুবহানআল্লাহ। মাত্র ৫০০
টাকা দানে আপনি কি পরিমান লাভবান হতে
পারেন তার ব্যাখ্যা কোন মানুষ দিতে
পারবেনা। আয়িশাহ (রাঃ)-হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : মহান আল্লাহু বান্দার দানকৃত একটি খেজুর ও লোকমা প্রতিপালন করতে থাকেন, এমনকি এক পর্যায় তা উহুদ পাহাড় সমতুল্য হয়ে যায়। সুবহানআল্লাহ

আলহামদুলিল্লাহ্‌ এই পর্যন্ত অনেক দ্বীনি ভাই এই মহতী কাজে অংশগ্রহণ করেছে।আমি গত ১০/০২/২০১৭তারিখ থেকে দান কালেকশন করছি আলহামদুলিল্লাহ্‌।গতমাসে আমি দাতা সদস্য দের কাছথেকে প্রায় ১লাক্ষ টাকা বেশি কালেকশন করেছি। আলহামদুলিল্লাহ্‌ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ্‌

বি. দ্র. - যারা আজিবন দাতা সদস্য হতে চান তারা কমেন্ট অথবা ইনবক্সে আমাকে জানাবেন ইনশাআল্লাহ। এই পোস্টের সাথে শায়খ কোনভাবেই জড়িত নয়,তবে আপনি শায়খের সাথে যোগাযোগ করে সদস্য হতে পারেন।
শায়খের নাম্বার 01717088967

আল-জামিআহ আস সালাফিয়্যাহ-এর ছবি সহ বর্তমান আপডেট পেতে নীচের লিংকে ক্লিক করুন!
http://jamiahsalafiyah.com/school-introduction/

এটা কেবলই আমার ব্যক্তিগত মতামত।আমি "আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহর" ছাত্রের অভিভাবক তাজুল ইসলাম
tajul islam vp rahul
যোগাযোগ ইমু 01911171556

মহান আল্লাহ আপনাদের সবাইকে প্রাণ খুলে
দান করার তওফিক দিক, এবং সেই দান যেন
আল্লাহ কবুল করেন। আমীন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

তিন শ্রেণীর লোক দ্বারা সর্বপ্রথম জাহান্নাম উদ্বোধন

♪♪তিন শ্রেণীর লোক দ্বারা সর্বপ্রথম জাহান্নাম উদ্বোধন করা হবে। যথাঃ (ক) শহীদ। (খ) আলেম এবং (গ) দানবীর। ★হাদিস: তিন শ্রেণীর লোক সর্বপ্রথম জাহান্নামে যাবেঃ প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইরশাদ করতে শুনেছি, নবীজী বলেন:কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যাদের বিচার করা হবে, শাহাদত বরণকারী একজন লোক, তাকে উপস্থিত করা হবে এবং আল্লাহ প্রদত্ত্ব যাবতীয় নেয়ামত সম্পর্কে জ্ঞাত করা হবে সে সব নেয়ামতকে চিনে বা মেনে নেবে। তখন তাকে বলা হবে: এসব নেয়ামতের পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কি কি আমল করেছ? বলবে: আপনার তরে লড়াই-জিহাদ করেছি এবং শহীদ হয়ে গিয়েছি। বলা হবে: তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি লড়াই করেছ এজন্য যে, লোকেরা তোমাকে বীর-বাহাদুর বলবে। তাতো বলা হয়েছে। অত:পর তার ব্যাপারে রায় ঘোষণা করা হবে এবং তাকে চেহারার উপর ভর দিয়ে টেনে নিয়ে (যাওয়া হবে এবং) জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। →দ্বিতীয় পর্যায়ে, আলেম ব্যক্তি যে নিজে দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করেছে, অপরকে শিক্ষা দিয়েছে এবং কোরআন পড়েছে। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং প্রদত্ত নেয়ামত সম্পর্কে জ্ঞাত করা হবে। সে সব নেয়ামত...

ভ্রান্ত আলেম

ভ্রান্ত আলেম ভ্রান্ত আলেমঃ- নবি(স) বলেন,আমি আমার উম্মতের একটি বিষয়কে দজ্জালে চেয়ে ও বেশী ভয় করি। আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসুল সেটা কি? তিনি বল্লেন,বিপথগামী ও পথভ্রষ্ট আলেম(সহি মুসলিম:৬,৭ মুসনাদে আহমদ:২১৬২১,২১৬২২ তাবরানী:৭৬৫৩)। আলেমগন(ভাল) ইসলামের পাহরাদার বল্লেও, দুর্ভাগ্য যে বর্তমানে কিছু লোক (পীর নিয়ন্ত্রিত) মাদ্রাসায় সাজেশান পড়ে আলেম সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে, কিন্তু তারা কুরআন সম্পূর্ণ পড়ে না,বিধায় আমাদের সমাজে পথভ্রষ্ট ও ভ্রান্ত আলেম বেড়ে গেছে। তাদের অজ্ঞতায় সৃজিত জাল-যঈফ হাদিসের জন্য সাধারণ মুসলিম শির্ক ও বিদাআত চিনতে পারছেন না। এরাই বর্তমানে বলে বেড়ায় "ধর্ম বুঝা কঠিন, মাদ্রাসা না পড়লে কোন ভাবেই ধর্ম জানা যায় না তারচে তারা যা বলে তা অন্ধ ভাবে অনুসরণ করতে"। প্রকৃত পক্ষে- এটি সহজ ও দলিল ভিত্তিক ধর্ম।এটা মানতে কুরআন ও সুন্নাহ(in to to) অনুসরণ করতে হয়। কোন পীর,ঈমাম কিংবা আলেম এর স্বপ্ন,ইচ্ছা,গনতন্ত্র, ভাল লাগা, না লাগার উপর ইসলাম নির্ভর করে না। আল্লাহ্‌ বলেন, আলেমদের অন্ধ অনুসরণ করা হারাম(সুরা নাহল:১৬/৪৩,সুর আ"রাফ:৭/৩, সুরা আহযাব:৩৩/৬৭) [Mahbubul ...

হকপন্থী দল কারা ?”

হকপন্থী দল কারা ?” সওবান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হকপন্থী দল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, "চিরদিন আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল হকের উপরে বিজয়ী থাকবে। পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, এমতাবস্থায় ক্বিয়ামত এসে যাবে, অথচ তারা ঐভাবে থাকবে ।” (সহীহ মুসলিম ‘ইমারত’ অধ্যায়-৩৩, অনুচ্ছেদ-৫৩, হা/১৯২০; ফাৎহুল বারী হা/৭১ ‘ইল্ম’ অধ্যায় ও হা/৭৩১১-এর ভাষ্য ‘কিতাব ও সুন্নাহকে, ‘আঁকড়ে ধরা’ অধ্যায়; আলবানী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিঃ)-কে ‘ক্বিয়ামত পর্যন্ত হক-এর উপরে একটি দল টিকে থাকবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, -“তারা যদি ‘আহলে হাদীস’ না হয়। তাহ’লে আমি জানি না তারা কারা ?” (তিরমিযী হা/২১৯২; মিশকাত হা/৬২৮৩-এর ব্যাখ্যা; ফাৎহুল বারী ১৩/৩০৬ পৃঃ, হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০-এর ব্যাখ্যা; শারফু আসহাবিল হাদীস পৃঃ ১৫।) ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আল-হাকিম(মৃঃ ৪০৫ হিঃ) বলেন, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল এই মন্তব্য করে ভালোই করেছেন যে, কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকার সেই বিজয়ী দলটি হল ‘আসহাবুল হাদিস’। (ম...