সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহর

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ এই পোস্ট কপি শেয়ার করা আপনার ঈমানী দায়ীত্ব। আপনার শেয়ারকৃত এই স্ট্যাটাস পড়ে কেউ অনুপ্রাণিত হয়ে এই মহৎ কাজে অংশগ্রহন করলে আপনি কতটুকু লাভবান হবেন সেটার হিসাব কোন মানুষের পক্ষে দেয়া সম্ভব না। তাই গণহারে শেয়ার করুন, আসমা বিন্তু আবূ বাকর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি এক সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাঁকে বললেনঃ তুমি সম্পদ জমা করে রেখো না, এরূপ করলে আল্লাহ তোমা হতে তা আটকেইও রাখবেন। কাজেই সাধ্যানুসারে দান করতে থাক। শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ প্রায় প্রতিদিন মাহফিল করে বেড়ান। দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তর যাওয়ার কারনে তিনি প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি এই মাহফিল করে যেই টাকা পান সেটা দিয়ে "আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহ" নারায়ণগঞ্জ ও রাজশাহী মাদ্রাসায় খরচ করেন।ওয়াজের টাকা দিয়ে মাদরাসা চালান শায়খ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ শুনুন ড: মুসলহেুদ্দীনের মুখে https://www.youtube.com/watch?v=2fApGDZJhp8 আমার প্রশ্নঃ-দ্বীনের খেদমত কি শুধু শায়খ গন একাই করবেন? আমরা কি এই খেদমতে অংশগ্রহন করতে প...

ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে

গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্‌শির অধ্যায়ঃ মুনাজাত ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে নামাযী যখন নামায পড়ে তখন সে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করে। আল্লাহর সাথে নিরালায় যেন কানে কানে কথা বলে। (মুঅত্তা, মুসনাদে আহ্‌মদ ২/৩৬, ৪/ ৩৪৪) নামাযের মাঝেই আব্দ (দাস) মাবুদের (প্রভুর) ধ্যনে ধ্যানমগ্ন থাকে। যেন সে তাকে দেখতে পায়। যতক্ষণ সে নামাযে থাকে ততক্ষণ সে আল্লাহর সাথে কথা বলে। তিনি তার প্রতি মুখ ফিরান এবং সালাম না ফিরা পর্যন্ত তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন না। (বাইহাকী, সহীহুল জামে’১৬১৪ নং) পরক্ষণে যখনই সে সালাম ফিরে দেয়  তখনই সে মুনাজাতের অবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, দূর হয়ে যায় নৈকট্যের বিশেষ যোগসূত্র। বান্দা সরে আসে  সেই মহান বিশ্বাধিপতির খাস দরবার থেকে। সুতরাং তার নিকট কিছু চাওয়া তো সেই সময়ে অধিক শোভনীয় যে সময়ে ভিখারী বান্দা তাঁর ধ্যনে তার নিকটে ও তাঁর খাস দরবারে থাকে। অতএব সেই নৈকট্যের ধ্যান ভঙ্গ করে এবং মহানবী (সাঃ) এর নির্দেশিত মুনাজাত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় মুনাজাত সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত নয়। অবশ্য সহীহ হাদীসে বর্ণিত যে, একদা সাহাবাগণ আল্লাহর রসূল (সাঃ) কে কোন্‌ সময় দুআ অধিকরুপে কবুল হয় - ...

কুরআন কে হাদিছ বলা হয়েছে এই কোন কোন সূরায় দেখে নিন।

কুরআন কে হাদিছ বলা হয়েছে এই কোন কোন সূরায় দেখে নিন। 1• { সূরা জাসিয়া: ৬ } 2• { সূরা কাহাফ: ৬ } 3• { সূরা যুমার: ২৩ } 4• { সূরা নাজম: ৫৯ } 5• { সূরা কালাম: ৪৪ } 6• { সূরা নিসা: ৮৭ } 7• {সূরা আরাফ: ১৮৫} 8• {সূরা আতাকাসূর: ৩৪} 9•{সূরা মোরসালাত :৫০}

পবিত্র কোরআন থেকে ৪০টি উপদেশবাণী

পবিত্র কোরআন থেকে ৪০টি উপদেশবাণী ---------------------------------------------------------------- ১.কঠোর ভাষায় কথা বলনা (৩:১৫৯) ২.রাগ দমন কর (৩:১৩৪) ৩.অন্যের সাথে ভাল আচরণ কর (৪:৩৬) ৪.নিষ্ঠুর হইও না (৭:১৩) ৫.অন্যের ভুলকে ক্ষমা কর (৭:১৯৯) ৬.মানুষের সাথে নম্র ভাষায় কথা বল (২০:৪৪) ৭.আস্তে শব্দ কর (৩১:১৯) ৮.অন্যকে বিপদ গ্রস্ত করোনা (৪৯:১১) ৯.পিতা মাতার উপর দায়ীত্ববান হও (১৭:২৩) ১০.পিতা মাতার সাথে উফ শব্দটাও বলনা (১৭:২৩) ১১.না বলে পিতা মাতার ঘরে প্রবেশ করনা (২৪:৫৮) ১২.বকেয়া লিখে রাখ (২:২৮২) ১৩.কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করনা (২:১৭০) ১৪.ঋন ফিরিয়ে দেওয়ার আরো সুযোগ দিতে হবে (২:২৮০) ১৫.সুদ নিও না (২:২৭৫) ১৬.ঘুষ খেয়ো না (২:১৮৮) ১৭.শর্ত ভাঙিয়ো না (২:১৭৭) ১৮.বিশ্বাস বজায় রাখো (২:২৮৩) ১৯.সত্যকে মিথ্যার সাথে মিলিয় না (২:৪২) ২০.মানুষের মাঝে সঠিক বিচার কর। (৪:৫৮) ২১.সুবিচারে কঠোর অবস্থান রাখো (৪:১৩৫) ২২.মৃত ব্যাক্তির সম্পদ তার পরিবারে সঠিক ভাবে ভাগ করে দেও (৪:৭) ২৩.নারীদেরও উত্তরোধিকার হওয়ার নিয়ম আছে (৪:৭) ২৪.এতিমের সম্পত্তি গ্রাস করোনা (৪:১০) ২৫.এতিমকে রক্ষা করো (২...

নামায

গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্‌শির অধ্যায়ঃ নামাযের শর্তাবলী ও আরকানসমূহ নামাযের শর্তাবলী ১। নামাযীকে প্রকৃত মুসলিম হতে হবে ২। জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। (পাগল বা জ্ঞানশূন্য হবে না) ৩। বিবেকসম্পন্ন হতে হবে। (সাত বছরের নিম্ন বয়সী শিশু হবে না) ৪। (ওযু-গোসল করে) পবিত্র হতে হবে ৫। নামাযের সঠিক সময় হতে হবে ৬। শরীরের লজ্জাস্থান আবৃত হতে হবে ৭। শরীর, পোশাক ও নামাযের স্থান থেকে নাপাকী দূর করতে হবে ৮। কিবলার দিকে মুখ করতে হবে ৯। মনে  মনে নিয়ত করতে হবে --- গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্‌শির অধ্যায়ঃ নামাযের শর্তাবলী ও আরকানসমূহ নামাযের আরকানসমূহ ১। (ফরয নামাযে) সামথ্য হলে কিয়াম (দাঁড়ানোর সময় দাঁড়িয়ে নামায পড়া) ২। তাকবীরে তাহ্‌রীমা ৩। (প্রত্যেক রাকআতে) সূরা ফাতিহা ৪। রুকু ৫। রুকু থেকে উঠে খাড়া হওয়া ৬। (সাষ্টাঙ্গে) সিজদাহ ৭। সিজদাহ থেকে উঠে বসা ৮। দুই সিজদার মাঝে বৈঠক ৯। শেষ তাশাহহুদ ১০। তাশাহহুদের শেষ বৈঠক ১১। উক্ত তাশাহ্‌হুদে নবী (সাঃ) এর উপর দরুদ পাঠ ১২। দুই সালাম ১৩। সমস্ত রুকনে ধীরতা ও স্থিরতা ১৪। আরকানের মাঝে তরতীব ও পর্যায়ক্রম। """"""" গ্...

সালফদের মানহাজ

সালফদের মানহাজ আলোকপাত প্রশ্ন: কোন কোন ব্যক্তি আক্বীদায়ে সালাফ ও মানহাজে সালাফের মধ্যে পার্থক্য করে থাকেন। ফলে দেখা যায় তারা সালাফী আক্বীদাসম্পন্ন হলেও প্রচলিত বিভিন্ন মতবাদের অনুসারী দলের সাথে সম্পৃক্ত, অথচ কার্যক্ষেত্রে মতবাদগুলোর সাথে সালাফে ছালেহীনের মানহাজের বৈপরিত্য রয়েছে। প্রশ্ন হল, সালাফী মানহাজ বাস্তবায়ন করার জন্য আক্বীদায়ে সালাফের সাথে মানহাজে সালাফ অনুসরণ করাও কি সমভাবে অপরিহার্য? -আব্দুর রশীদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।  উত্তর: আক্বীদায়ে সালাফ ও মানহাজে সালাফ পৃথক কিছু নয়। দু’টিরই অনুসরণ করা অপরিহার্য। ব্যবহারিক অর্থে মানহাজ আক্বীদার চেয়ে ব্যাপকতর (আম) শব্দ। আক্বীদা হল অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাসকেন্দ্রিক, আর মানহাজ হল দৃশ্যমান জগতকেন্দ্রিক। মানহাজ শব্দটি আক্বীদা (মৌলিক বিশ্বাস), সুলূক (আচরণবিধি), আখলাক (চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য), মু‘আমালাত (পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক লেনদেন) অর্থাৎ একজন মুসলমানের বাস্তব জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপকে পরিবেষ্টন করে। আর আক্বীদা হল ঈমান ও কালেমায়ে শাহাদতের ভিত্তিমূল এবং এ দু’টির মধ্যেই আক্বীদার সীমানা পরিব্যাপ্ত। সুতরাং বলা যায়, আক্বীদা ও মানহাজ শ...

শিকারি ও বুদ্ধিমান পাখি

শিকারি ও বুদ্ধিমান পাখি একবার এক শিকারি ছোট্ট একটি পাখি ধরে ফেলল। পাখিটি খুব বুদ্ধিমান ছিল। পাখিটি শিকারির খুব প্রশংসা করতে লাগল যে, তুমি এতবড় শিকারি! জীবনে অনেক বাঘ মেরেছ, অনেক ভাল্লুক মেরেছ, এই করেছ, সেই করেছ। আমি একটা ছোট্ট পাখি, আমার ওজন ১০০ গ্রামও না, আমাকে খেয়ে তুমি কী করবে? আমাকে খেলে তো তোমার পেটের একটা কোনাও ভরবে না। তার চেয়ে বরং আমাকে ছেড়ে দাও। তোমাকে এমন তিনটি মূল্যবান বাণী শোনাব যা তোমার সারাজীবন কাজে লাগবে। . এমনভাবে সে কথাবার্তা বলছিল যে শিকারির মন গলে গেল। কারণ তেল পেতে সবাই পছন্দ ক রে। আরেকজনকে গলানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তেল। সে ভেবে দেখল, ঠিকই তো। এত ছোট পাখি খেয়ে কোনো লাভ নেই। তার চেয়ে শুনি, পাখিটা কী বলতে চায়। হয়তো এতে আমার লাভ বেশি হবে। . শিকারি রাজি হওয়ায় পাখিটি বলল, আমি প্রথম বাক্যটি বলব তোমার হাতের ওপর বসে, দ্বিতীয় বাক্যটি বলব এই গাছের ডালে বসে, তৃতীয় বাক্যটি বলবো গাছের মগডালে বসে। শিকারি বললো, ঠিক আছে। . পাখি বলল, ‘কখনো অলীক কল্পনা কর না, যা অবাস্তব সেটা কখনো বিশ্বাস কর না’। শিকারি বলল, খুব ঠিক কথা। সত্যিই তাই। কখনো অবাস্তব কথায় বিশ্বাস করতে নেই। পাখি বল...