সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শবেবরাত বিষয়ে সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস

শবেবরাত বিষয়ে সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস ‘মধ্য শাবানের রজনী’ বা ‘শবে বারাত’ বিষয়ক সকল সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস সনদ-সহ বিস্তারিত আলোচনা করেছি ‘‘কুরআন-সুন্নাহর আলোকে শবে বরাত: ফযীলত ও আমল’’ নামক গ্রন্থে। এখানে আমি এ বিষয়ক জাল হাদীসগুলো আলোচনা করতে চাই। প্রসঙ্গত এ বিষয়ক সহীহ ও যয়ীফ হাদীসগুলোর বিষয়েও কিছু কথা আসবে। ১. মধ্য শাবানের রাত্রির বিশেষ মাগফিরাত এ বিষয়টি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে: إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ ‘‘মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দৃকপাত করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।’’ এ অর্থের হাদীস কাছাকাছি শব্দে ৮ জন সাহাবী: আবূ মূসা আশআরী, আউফ ইবনু মালিক, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর, মুয়ায ইবনু জাবাল, আবু সা’লাবা আল-খুশানী, আবূ হুরাইরা, আয়েশা ও আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে।[1] এ সকল হাদীসের সনদ বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা উপর্যুক্ত গ্রন্থে করেছি। এগুলোর মধ্যে কিছু সনদ দুর্বল ও কিছু সনদ ‘হাসান’ পর্...

বর্তমানে ফেসবুকে বহুল শেয়ারকৃত এই পোস্টটি সম্পূর্ন ভূয়া! ভূয়া! ভূয়া!ওমুক তারিখে শবে বরাত!!! ওমুক তারিখে মাহে রমজান!!!!! ওমুক তারিখে ঈদুল ফিতর!!!!!! ওমুক তারিখে ঈদুল আযহা!!!!!!

*وَعَلَيْكُمُّ السَّلاَمْ وَ رَحْمَتُﷲِ وَبَرَكَاتُهُ* *❌❌সাবধান সাবধান সাবধান❌❌* বর্তমানে ফেসবুকে বহুল শেয়ারকৃত এই পোস্টটি সম্পূর্ন ভূয়া! ভূয়া! ভূয়া!ওমুক তারিখে শবে বরাত!!! ওমুক তারিখে মাহে রমজান!!!!! ওমুক তারিখে ঈদুল ফিতর!!!!!! ওমুক তারিখে ঈদুল আযহা!!!!!! বর্তমানে ফেসবুকে বহুল শেয়ারকৃত এই পোস্টটি সম্পূর্ন ভূয়া! ভূয়া! ভূয়া! ওমুক তারিখে শবে বরাত!!! (যদিও কুরআন সুন্নায় শবে বরাত বলতে কোন শব্দ ই নাই!) ওমুক তারিখে মাহে রমজান!!!!! ওমুক তারিখে ঈদুল ফিতর!!!!!! ওমুক তারিখে ঈদুল আযহা!!!!!! মহা নবী (সাঃ) নাকি বলছেন যে এই খবর ১ম কোন মুসলিমকে দিবে তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম!"<<< এইটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা! ডাহা মিথ্যা কথা! ডাহা মিথ্যা কথা! এমন কোন হাদীস পৃথিবীতেই নাই। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “খবরদার! তোমরা আমার নামে বেশি বেশি হাদীস বলা থেকে বিরত থাকবে। যে আমার নামে কিছু বলবে সে যেন সঠিক কথা বলে। আর যেই আমার নামে এমন কথা বলবে যা আমি বলিনি তাকে জাহান্নামে বসবাস করতে হবে।”[ইবনু মাজাহ, আস-সুনান১/১৪;আলবানী, সহীহ সুনান ইবনি মাজাহ ১/২৯; দারিম...

যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী হবে তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য 💎

💠 যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী হবে তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য 💎 ১. নিশ্চই মুসলিম পুরুষ, মুসলিম নারী, ২. মুমিন পুরুষ, মুমিন নারী, ৩. অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, ৪. সত্যবাদী পুরুষ,সত্যবাদী নারী, ৫. ধৈর্যশীল পুরুষ, ধৈর্যশীল নারী, ৬. বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, ৭. দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, ৮. সিয়াম পালনকারী পুরুষ, সিয়াম পালনকারী নারী, ৯. যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী পুরুষ, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী নারী, ১০. আল্লাহর অধিক যিকিরকারী পুরুষ ও যিকিরকারী নারী। এই সব লোকেদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরুস্কার (জান্নাত)। সূরা আহযাব (৩৩) :৩৫; ✳ . ১১. যারা সালাত আদায়কারী, ১২. যারা তাদের সালাতে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে, ১৩. আর যারা তাদের ধন-সম্পত্তিতে নির্দিষ্ট অধিকার রেখেছে। গরিব ও বঞ্চিতদের জন্য, ১৪. যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে, ১৫. যারা তাদের পালনকর্তার শাস্তির সম্পর্কে ভীত-কম্পিত, ১৬. যারা তাদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, ১৭. যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে, ১৮. যারা তাদের সাক্ষ্যদানে সরল-নিষ্ঠাবান, ১৯. যারা তাদের সালাতে যত্নবান। এই সব লোকেরাই থাকবে জান্নাতে পর...