সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অধ্যায়ঃ নামাযের ওয়াক্ত

গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্‌শির অধ্যায়ঃ নামাযের ওয়াক্ত যে যে সময়ে নামায নিষিদ্ধ দিবারাত্রে পাঁচটি সময়ে নামায পড়া নিষিদ্ধ; মহানবী (সাঃ) বলেন, (১) “আসরের নামাযের পর সূর্য না ডোবা পর্যন্ত আর কোন নামায নেই এবং (২) ফজরের নামাযের পর সূর্য না ওঠা পর্যন্ত আর কোন নামায নেই।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ১০৪১ নং) উক্ববা বিন আমের (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) আমাদেরকে তিন সময়ে নামায পড়তে এবং মুর্দা দাফন করতে নিষেধ করতেন; (৩) ঠিক সূর্য উদয় হওয়ার পর থেকে একটু উঁচু না হওয়া পর্যন্ত, (৪) সূর্য ঠিক মাথার উপর আসার পর থেকে একটু ঢলে না যাওয়া পর্যন্ত এবং (৫) সূর্য ডোবার কাছাকাছি হওয়া থেকে ডুবে না যাওয়া পর্যন্ত। (মুসলিম,  আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, মিশকাত ১০৪০ নং) যেহেতু এই সময়গুলিতে সাধারণত: কাফেররা সূর্যের পূজা করে থাকে তাই। (মুসলিম,  মিশকাত ১০৪২ নং) নামায নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে এটি হল সাধারণ নির্দেশ। কিন্তু অন্যান্য হাদীস দ্বারা কিছু সময়ে কিছু নামাযকে ব্যতিক্রম করা হয়েছে। যেমন:- ১। ফরয নামায বাকী থাকলে তা আদায় করার সুযোগ হওয়া মাত্র যে কোন স...

জামাআতের ফযীলত ও মাহাত্ম

জামাআতের ফযীলত ও মাহাত্ম ওয়াজেব হওয়ার সাথে সাথে জামাআতের বিভিন্নমুখী কল্যাণ ও মাহাত্ম রয়েছে; যা জেনে জ্ঞানী নামাযীকে জামাআতে উপস্থিত হয়ে নামায আদায় করতে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হওয়া উচিৎ। জামাআতে হাজির হয়ে যারা আল্লাহর ঘর মসজিদ আবাদ রাখে, তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত; মহান আল্লাহ তাদের প্রশংসা করে বলেন, (إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللهَ، فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ) অর্থাৎ, আসলে তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করে, যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। আর আশা করা যায়, তারাই হল হেদায়াত-প্রাপ্ত। (কুরআন মাজীদ ৯/১৮) জামাআতে উপস্থিতি দোযখ ও মুনাফেকী থেকে মুক্তি দেয়; মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ৪০ দিন জামাআতে নামায আদায় করবে এবং তাতে তাহ্‌রীমার তকবীরও পাবে, (সেই ব্যক্তির জন্য দুটি মুক্তি লিখা হবে; দোযখ থেকে মুক্তি এবং মুনাফেকী থেকে মুক্তি।” (তিরমিযী, সু...

আল_কুরআনের কাছেই সবকিছুর সমাধান।

বাহ! কি চমৎকার!! #আল_কুরআনের কাছেই সবকিছুর সমাধান। ১/ আমি যখন বিষন্ন থাকি, কোরআন বলে.... "যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।" [সুরা বাকারা: ২৫৭] ২/ আমি যখন হতাশায় থাকি, কোরআন বলে.... "আল্লাহর উপরই ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।" [সুরা মায়েদা: ২৩] ৩/ আমি যখন গুনাহ করি, কোরআন বলে.... তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে, এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না। [ সুরা ইমরান ৩:১৩৫ ] ৪/ আমি যখন ক্ষমা চাই! কোরআন বলে.... “তারা কি অবহিত নয় যে, আল্লাহ তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন! আর তিনিই সদকা গ্রহণ করেন এবং তিনি তাওবা কবুলকারী পরম দয়ালু।” [তওবাঃ৯:১০৪] ৫/ আমি যখন বিপদে পড়ি! কোরআন বলে.... "অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ ...

লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য

লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ লোকে বলে, ‘মিথ্যা না বললে ব্যবসা চলে না।’ এ কথা কি ঠিক? ব্যবসায় মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যে কসম খাওয়ায় পাপ কি? তাদের কথা ঠিক নয়। ব্যবসা চলা না চলা আল্লাহর হাতে। রুজি ও বরকতের চাবি তার হাতে। সুতরাং সদা সত্য কথা বলাই মুসলিমের গুন। আর মিথ্যা বলা মুনাফিকের গুন। রাসুল (সঃ) বলেছেন, “নিশ্চয় সত্যবাদীরা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ নির্দেশনা করে। আর মানুষ সত্য কথা বলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে ‘মহাসত্যবাদি’ রূপে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদিতা নির্লজ্জতা ও পাপাচার এর দিকে নিয়ে যায়।  আর পাপাচার জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে ‘মহামিথ্যাবাদীরূপে’ লিপিবদ্ধ করা হয়। (বুখারি ও মুসলিম) মিথ্যা কসম খেয়েও মাল বিক্রয় করা মহাপাপ। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে ) তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য থাকবে যন্ত্রণা দায়ক শাস্তি।” বর্ণনা কারি বলেন, ‘রাসুল (সঃ) উক্ত বাক্যগুলো তিনবার বললেন...